ঢাকা: বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম ও স্বপ্নশীল সত্তা প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের কবিতায় অনন্য রূপদক্ষতায় ফুটে উঠেছে। বাংলা কবিতা নির্মাণকলার তিনি অন্যতম সিদ্ধপুরুষ।
বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমিতে কবি শামসুর রাহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘শামসুর রাহমান: রূপ-রূপান্তরের কবি' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি ও লেখক সৈয়দ শামসুল হক।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) শামসুজ্জামান খান বলেন, শামসুর রাহমান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি, বাংলা কবিতা নির্মাণকলার অন্যতম সিদ্ধপুরুষ। তার স্বাধীনতার কবিতামালা চিরকালের পাঠকের কাছে উজ্জীবনের উৎস হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি শামসুর রাহমানের নামে সেমিনার কক্ষের নামকরণ করেছে এবং সৌভাগ্যের বিষয় এখানেই আমরা কবিকে স্মরণ করছি।
অধ্যাপক শান্তনু কায়সার বলেন, কবি শামসুর রাহমান রূপান্তরশীল কবি। তার বিচিত্র মাত্রার সৃষ্টি ক্রম-রূপান্তরেরই সার্থক সাক্ষ্য। একান্ত ব্যক্তি-অনুভবের স্তর থেকে তিনি ক্রমশ গোটা জাতির শিল্পভাষ্যকার হয়ে উঠেছেন।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষা-বাঙালি সংস্কৃতি-মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আভায় শামসুর রাহমানের কবিতা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে ওঠেছে।
সৈয়দ শামসুল হক বলেন, শামসুর রাহমানকে খণ্ডিতভাবে না দেখে তার সমগ্রতার সন্ধান জরুরি। তার রাজনৈতিক কবিতা যেমন উদ্দীপক হয়ে কাজ করে তেমনি প্রেমের কবিতাতেও তিনি অনন্যসাধারণ। তার রূপকল্প-চিত্রকল্প নির্মাণের অসাধারণত্ব বিশেষভাবে বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
তিনি বলেন, শামসুর রাহমান ত্রিশের দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমাদের কাব্য-ভাষা বিবর্তনের সাঁকো হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। মধ্যযুগীয় রুচি থেকে আধুনিকতা ও সমসাময়িকতার বোধে বাংলা কবিতাকে উত্তরিত করার ক্ষেত্রে শামসুর রাহমান ও পঞ্চাশের কবিরা তুলনারহিত ভূমিকা পালন করেছেন। একটি ভূখণ্ডের সামগ্রিক কাব্যরুচি নির্মাণের প্রায় একক কৃতিত্ব শামসুর রাহমানের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪