২৩ জুলাই তাজউদ্দীন আহমেদের জন্মদিন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির সৃষ্টির সাথে জড়িত প্রথম দিককার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা।
১৯৫২ সালে তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন ২৬-২৭ বছরের যুবক। ওই সময় তিনি প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনা লিখে রাখতেন ইংরেজিতে। ওই লেখা পাঠ করলেই টের পাওয়া যায় তিনি কতখানি সমাজ এবং রাজনীতি সচেতন ছিলেন; তার ভাবনা কীভাবে নিজেকে ছাড়িয়ে বৃহত্তর সমাজকে স্পর্শ করত। বর্তমান খণ্ডটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন কবি বেলাল চৌধুরী। বইটি তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমি হোসেন রিমির উদ্যোগে প্রতিভাস থেকে প্রকাশিত হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেছেন খান সারওয়ার মুরশিদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাবা তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি প্রকাশ প্রসঙ্গে কথা বলেন সিমি হোসেন রিমি। পরে তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি পাঠের প্রতিক্রিয়া ও গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন প্রফেসর আনিসুজ্জামান, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আবুল মাল আবদুল মুহিত, কবি বেলাল চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
বক্তারা ডায়েরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন, তাজউদ্দীন আহমদ তার ডায়েরিতে ব্যক্তিগত কোনো আবেগকে অতিরঞ্জিত করে লেখেননি। তিনি খুব নিরাবেগভাবে নিখুঁত বাস্তব পরিস্থিতিকে তার ডায়েরিতে তুলে এনেছেন। ডায়েরিতে তার ব্যক্তিগত জীবন-যাপনকে ছাপিয়ে অনেক মানুষ, দেশ, তৎকালীন বিশ্বের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা সাবলীলভাবে উঠে এসেছে। এ ডায়েরি তরুণ প্রজন্মকে দেশ ও বিশ্বভাবনার ক্ষেত্রে অনেকখানি উজ্জীবিত করবে।
তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত ডায়েরি লিখেছেন। দুঃখের বিষয় ’৫৩ সাল থেকে ’৫৬ সাল পর্যন্ত লেখা ডায়েরিগুলো হারিয়ে গেছে। ওই ডায়েরিগুলো উদ্ধার করা গেলে হয়ত তাজউদ্দীন আহমদের পাশাপাশি ইতিহাসের আরও অনেক নতুন দিক সম্পর্কে জানা যেত।
বইটিতে আছে তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরির ইংরেজি লেখার প্রতিলিপি এবং তার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৫৯, জুলাই ২৩, ২০১০