ভালো
সবাই আমার ভালো করতে চায়।
ওরা এসে আমার ভালো করতে চাইলে
ঘর ছেড়ে এগিয়ে যাই
ওরা কেটে নেয় আমার ডানহাতখানা
ঝুলিয়ে দেয় গাছের ডালে
এরা এসে আমার ভালো করতে চাইলে
মাঠ ছেড়ে এগিয়ে যাই
এরা কেটে নেয় আমার বাঁহাতখানা
গেঁথে দেয় আলপথে
তার পর
গাছ থেকে হাওয়ায় হাওয়ায় দুলতে থাকে কাটা হাতের
আঙুলগুলি
ডাকতে থাকে আয় আয়
আর সেই ডাক শুনে
ছুটে আসতে থাকে আরো সবাই আমাদের ভালো হবে
বলে
খুবই আমাদের ভালো হতে থাকে
সবার দুচোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকে ফিনকিতোলা
রক্ত
আর তারই রসে
ঝুলে-থাকা খাড়া-হাওয়া কাটা হাতে হাতে
ভরে উঠতে থাকে চারদিকে জমিজমা জঙ্গল শহর।
পারস্পরিক
অহর্নিশ সঙ্গে থাকো। তবুও মুখের রেখাগুলি
গভীর অচেনা লাগে। কালবেলা, কোথা থেকে এল?
বস্তিতে হোটেলঘরে রাজপথে আপিসে বাজারে
যখনই যেখানে যাই সেখানেই দেখি ওই হাসি!
সে-হাসি তো নয়, যেন কোন পুরোনো ঘাটের
জমে-থাকা পিচ্ছিলতা! আমি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি!
জীবনানন্দেরই সেই কবিতার মতো তবু দেখি
আমি চলি সেও চলে, আমি থামি সেও থেমে যায়।
তারপর কানে কানে বলে এসে; শোনো, সাবধান
শাদা পোশাকের আমি নজর রেখেছি পাশে পাশে।
তাঁর কাঁধে হাত রেখে আমিও তখন: ওরে ভাই
আমি যে গোয়েন্দা নই তারও কি প্রমাণ কিছু আছে?
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮৫৭, জুলাই ২৬, ২০১০