ফরাসি দেশের কবি মার্লামে একবার বলেছিলেন, কবিতা আইডিয়া দিয়ে লেখা হয় না, হয় শব্দ দিয়ে। ইউরোপীয় আধুনিকতায় কবিতার ক্ষেত্রে শব্দ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিকভাবে প্রিয় কবি রফিক আজাদের কবিতায় শব্দ ব্যবহারের প্রবণতা নিয়ে এই যৎকিঞ্চিত আলোচনা এটি। তবে আলোচনাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। আপাতত রফিক আজাদের একটি কাব্যগ্রন্থ এবং প্রকাশিত-অপ্রকাশিত কিছু কবিতা পর্যালোচনা করে লেখা হয়েছে এটি। তার কবিতা পড়লেই বোঝা যায়, শব্দচয়নে কত রকম নিরীক্ষাই না করেছেন কবি। অসম্ভবের পায়ে, চুনিয়া আমর আর্কেডিয়া থেকে এখন পর্যন্ত রফিক আজাদ যতরকম কবিতা লিখেছেন- তাতে লক্ষ্য করা যায়, কবিতায় শব্দচয়নে কী রকম সচেতন ও নিরীক্ষাপ্রবণ তিনি।
রফিক আজাদের কাব্যগ্রন্থ মৌলভীর মন ভালো নেই প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। বইটিতে কবিতা আছে ৫২টি। কবিতাগুলিতে অলংকারের বাহুল্য নেই। কিন্তু বুদ্ধিপ্রবল উপস্থিতি আছে, তবে আবেগও উপেক্ষিত নয়। কবিতা পড়তে পড়তে মনে হবে কবিতাগুলি যেন চর্চিত কবিতার খোলস ভেঙে বেরিরে আসার বাসনায় কাতর। ভেতরের কথাগুলি নির্বিকারভাবে তিনি খোলাসা করে দেন। তাতে বর্তমান-ভবিষ্যৎ, মহাসময়ের ক্ষত, প্রেম-কাম ও জীবনের প্রতি দূর্নিবার ত্যাগ-তিতিক্ষা, দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, আশা-হতাশা-উদ্বেগ সবকিছুই তার পঙক্তিকে ছুঁয়ে যায়। হয়তো এ কারণেই রফিক আজাদের কবিতা বারবার পড়া হয়, পড়তে হয়। যেমন:
মনে হয় কথা বেশি বলা হয়ে গেছে
আর কোনো কথা নয়,
এবার ফিরতে হবে প্রথম ক্রন্দনে! (নীরবতা স্বর্ণময়)
বেশি কথার মারপ্যাঁচ তার পছন্দ নয়। স্বল্প কথার মানুষ, কম কথাতেই নির্মাণ করেন পঙক্তিমালা। আলোচ্য বই মৌলভীর মন ভালো নেই, এতেও স্বল্প কথার দ্যুতি রয়েছে। সোজাসাপ্টা কথায় তুলে ধরেছেন বর্তমান অস্থিরতা ও চারপাশের নানা টানাপড়েন।
রফিকের কবিতায় মাটির স্পর্শ ও মাটি-মানুষের প্রতি প্রাণের আকুতি উচ্চারিত হয়েছে, বারংবার আহত হয়েছে। বিষয়বৈচিত্র্যের নিদারুণ অভাব ঘোচাতে গিয়ে বাংলাদেশের নৃ-গোষ্ঠীসমূহের উপকথা-রূপকথা, জীবনযাপন, সামগ্রিক সংস্কৃতি, তাদের ভাষাকেও সাবলীলভাবে তিনি ব্যবহার করেছেন।
জাতিসত্তাকে জানা, এর সঙ্গে নিজের একটা বোঝাপড়ার মধ্যে তিনি প্রাণের দিকে তাকিয়েছেন, অস্তিত্বের দিকে চোখ ফিরিয়েছেন। হয়তো এ কারণেই তার কবিতায় নিজঐতিহ্য, জন্মভূমির শিকড়-বাকড়ের লালিত্য অনুভব করা যায়। পিছনে ফিরে তিনি শ্বাস ফেলেছেন, সেটাই উঠে এসেছে কোনো কোনো কবিতায়। আবার কখনোবা তার অস্থিমজ্জায় দারুণ অনুপ্রেরণা ঢলে পড়েছে, বেদনাবোধ ও ক্ষয়িষ্ণুতার দহন এবং রোদন তাকে ব্যথিত করেছে। যেমন:
ফিরে তো আসতেই হয়
শেষাবধি নিজ ঠিকানায়,
দিনশেষে কে না ফেরে
হিরন্ময় আপন কুলায়!
পরিযায়ী পাখি ফেরে
শীতশেষে আপন নিবাসে।
(অবশেষে মানবিকে ফেরে)
সবাই ফিরতে চায়। কিন্তু কোথায় ফিরবে, কার কাছে ফিরবে, ফিরে তাকানোর কী দরকার-প্রশ্নগুলো থেকেই গেলো।
রফিক আজাদ কবিতায় মানবিক প্রবণতার দিকে ফিরে তাকানোর কথা আছে, সেটা কিন্তু আবেগ-প্রসূত নয়। বরং তার আপন অস্তিত্বে ফিরে আসা। ফিরে আসা মানুষের দিকে, জীবনের দিকে। এই ফিরে তাকানোর মধ্যে প্রবলভাবে কাজ করেছে বাঙালির চরিত্র, জাগতিক ইচ্ছা-অভিজ্ঞার প্রাণ-সম্পদ।
হয়তো এ কারণেই তিনি কবিতায় উচ্চারণ করেছেন:
বিরিশিরি গ্রাম থেকে শুরু হোক এই
শান্তি-অভিযাত্রা আজ;
বিবেক-তাড়িত মানুষের জাগরণে ধন্য হোক
ধরিত্রী আবার!
(প্রার্থনা, বসন্ত-বেলায়)
রফিক আজাদ গতানুগতিকতার বাইরে তৈরি করেছেন কবিতার একটা নিজস্ব স্বর। মৌলভীর মন ভালো নেই বইয়েও তা দুর্লক্ষ্য নয়। উপমা চিত্রকল্প নির্মাণে, ছন্দ ও ছন্দহীনতায়, মিল ও অমিলের বন্ধনে তার কবিতা কখনো রোমান্টিক, আবার কখনো ট্র্যাজেডির প্রভাবে অনন্য হয়ে উঠেছে।
মৌলবীর মন ভালো নেই বইটিতে শহরের কোলাহল আছে, নদীর জল মাটির ঘ্রাণও আছে; তেমনি আছে জীবনের প্রতি খানিকটা উদাসীন ভাবনা চিন্তার প্রতিফলন। নির্জন অতীত, চলার পথের কঠিন মুহূর্তগুলি, বোহেমিয়ান স্মৃতিগুলি, নিবিড় দুঃখগুলি তিনি নিজস্ব ভঙ্গিতে বর্ণনা করেছেন; পঙক্তির পরতে পরতে মেলে ধরেছেন। সেখানে কপটতার কোনো চিহ্ন নেই। যেমন:
পরাজয় মেনে বসে আছি
পরাজয় মেনে দাঁড়িয়ে রয়েছি
পরাজয় পরাজয় পরাজয় মেনে
চড়-লাত্থি খেয়ে আমি
অনড়, অনভিভূত
গড়াগড়ি খাইনি রাস্তায়
পথচ্যুত হইনি এখনো
একবারই জয়ী আমি-বিজয়ের বেদনা বুঝেছি!
(শেষ পঙক্তি)
বিষাদ, আশাভঙ্গের দাহ ও দহনের সঙ্গে তার কবিতায় দেখা যায় নাগরিক স্মার্টনেস। কোথাও কোথাও বিষয়বস্তু হিসেবে বর্তমান অস্থিরতাকে যেভাবে তুলে ধরেছেন, তাতে নাগরিক জীবনের গ্লানিই যেন প্রকাশিত হয়।
রফিক আজাদের কবিতায় নাগরিক জীবনের বিচ্ছিন্নতাপ্রবণ মানসিকতা, আধুনিক মননের জটিলতাপূর্ণ আবর্ত ও অন্তর্জগতের অনুভূতিগুলিই বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বিচ্ছিন্নতা বোধ, হারিয়ে যাওয়ার ভয়, হালকা হাস্যরস, অভিমান, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ। যার উৎসমূলে অন্তর্নিহিত আছে স্বপ্ন ও বাস্তব, ব্যক্তি-মানুষ ও ব্যক্তিত্বহীন সমাজের দ্বান্দ্বিকতা। কবিতায় হয়তো এ কারণেই ফেরার কথা উচ্চারণ করা হয়েছে। যেমন:
আজ বড় প্রয়োজন গৃহবাসী মানুষের
ঘরে ফিরে আসা;
মানুষ অযথা কেন মরবে আর পথে ঘুরে-ঘুরে!
-নিজের ভিতরে ফিরে খুঁজে পাবে নিবিড় নিভৃতি,
ঘরে গিয়ে শান্ত হবে
রাখবে মাথা স্নিগ্ধ করতলে
বেশি দূরে যাওয়া নয়
আর কোনো মোহপাশ নয়
গানের ভেতর ফেরা, ফিরে আসা; বহু দূর থেকে
ক্লান্ত-পদে ফেরা নয়, একান্ত আপন-মধ্যে-ফেরা;
(ফেরা)
রফিক আজাদের কবিতার অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে লোকসংস্কৃতি ও প্রকৃতির নানা উপাদান। ‘অচেনা ব্যোমযান’, ‘হালখাতা’ ইত্যাদি শিরোনামের কবিতাগুলিতে দেখা যায় সমাজের বিবর্তন, এর উন্নতি, দ্রুতগতির জীবনের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাস-কুসংস্কার ও আবেগ-অনুভূতির দ্বন্দ্ব। কোথাও কোথাও আছে রাজনৈতিক অনুষঙ্গের খেলা। কখনো তার উচ্চারণ স্পষ্ট, কখনো-বা প্রতীকআবহ দিয়ে সমকালীন অভিঘাতকে ঢেকেছেন। যেমন:
দীর্ঘ দিন ধরে মানুষেরা
কাঁটাতারে ঘিরে যেন ছোট করে ফেলেছে ঠিকানা!
উচিত ছিল না তার এই নিজের পৃথিবীটুকু
আড়ে-দিঘে বড় করে নেয়া?
-ক্রমশ করছে ছোট নিজেরই ঠিকানা!
(বড় হতে গিয়ে তারা খুব ছোট হয়ে গেছে)
মৌলবীর মন ভালো নেই বইয়ের কবিতাগুলো অনেকটা নিরাভরণ, সহজ। অসম্ভবের পায়ে, চুনিয়া আমর আর্কেডিয়া কাব্যগ্রন্থসহ আগের প্রবণতা থেকে তিনি বেশ সরে এসেছেন। কবিতাগুলিতে ভাষা ও অন্যান্য উপস্থাপনাগত বিষয়েও জটিলতা কম। সহজ করে সহজ ভাষায় ভিতরের মূর্ছনাকে তিনি উপস্থাপন করেছেন। যেমন:
পাতাগুলো এমন ধূসর
হওয়ার কথা তো ছিল না,
গাছগুলোরও তো সর্বদাই
ফলভারে নত থাকারই কথা ছিল
(নির্বোধের স্বগতোক্তি)
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক বিখ্যাত কবিই শেষপর্যায়ে এসে সহজে পঙক্তি উচ্চারণ করতে চান। রবীন্দ্রনাথের কথাও বলা যেতে পারে। রফিকের বর্তমান বইটিতেও যে সহজতা তা হয়তো বয়স ও অভিজ্ঞতারই ফল।
হয়তো তার সহজ পঙক্তি নির্মাণের পিছনে অক্ষরবৃত্তেরও একটা কার্যকরী অবদান রয়েছে। বইটির ৯৮ শতাংশ কবিতাই অক্ষরবৃত্তে লেখা। কবিতায় ছন্দব্যবহার নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষাও নেই। নিখুঁত অক্ষরবৃত্তেই তিনি লিখে গেছেন।
মৌলবীর মন ভালো নেই বইটিতে বিষয়কেন্দ্রিক কবিতা বেশিই রয়েছে। বিষয়কেন্দ্রিক কবিতাগুলো ছন্দে-মাত্রায় বেঁধে বিষয় বিস্তার করার প্রবণতা লক্ষ করা গেলো। ব্যাপারটি হয়তো প্রবন্ধের মতোই ঘটে যায়। সম্ভবত ‘চাবিশব্দ’ দিয়ে অবতারণা করেন বিষয়টির। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাবিশব্দটি ঘিরে বিষয় ও কবিতা আবর্তিত হয়। রফিক আজাদের কবিতায় এবার চাবিশব্দের ব্যবহার দেখা যেতে পারে। উদাহরণ:
বালিশ কেমন হবে ভাবিনি কখনো আগে আর
এবার বালিশ প্রসঙ্গই মুখ্য বলে মনে হয়,
পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বের কেন্দ্রে তবে আজ
বালিশেরও ভূমিকা রয়েছে!
(উপাধান)
‘উপাধান’ কবিতায় চাবিশব্দ হিসেবে বালিশের কথা বলা যায়। ‘বালিশ’ শব্দের সঙ্গে ‘ঘুম’ নিবিড়ভাবে জড়িত, অন্য বিষয়ও জড়িত। বালিশের বিষয়ে লিখতে গিয়ে ঘুমের প্রসঙ্গ আসাটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু কবিতায় উঠে এসেছে জাপানি বালিশের বর্ণনা। বিষয়টি পড়ে খুব মজা লাগল। জাপানিরা নাকি বয়স অনুসারে বালিশ তৈরি করেন। বালিশগুলোর আলাদা আলাদা নাম। প্রবীণদের জন্য যে বালিশ জাপানিরা তৈরি করে, ওতে মাথা রাখলে নাকি প্রাণশক্তি পাওয়া যায়! স্বপ্নাতুর ওই বালিশটার নাম হলো ‘হাৎসুবাৎসু কুরাবু’! কবিতায় এভাবে শব্দ ‘বালিশ’ ধরে নানা প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়।
রফিক আজাদের অধিকাংশ কবিতার ক্ষেত্রে চাবিশব্দ ঘিরেই বিষয় আবর্তিত হয়ে যায়। যেমন ‘সেলাই-করা ঘুমগুলো আমার’ কবিতার কথাই উল্লেখ করা যায়। এখানে জীবিকা প্রসঙ্গে সেলাই-করা কথাটি এসেছে। মূল শব্দ ‘সেলাই’। কাপড়ের টুকরো সেলাই করে যেমন কাঁথা হয়, তেমনিভাবে জীবন অনেক অভিজ্ঞতার সার। অভিজ্ঞতা জোড়া দিয়ে জীবন এগিয়ে যায়, থামার প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞতাই জানান দেয় কখন থামা দরকার। কাঁথার সঙ্গে হয়তো তাই জীবনের মিল খুঁজে পেয়েছেন রফিক আজাদ। সেলাই শব্দটি এ কারণেই চাবিশব্দ বলা যায়। ‘সেলাই-করা ঘুমগুলো আমার’ কবিতায় সেলাই শব্দের সঙ্গে ভিন্ন শব্দের যোগাযোগ রক্ষা করে তিনি ভাবের সম্প্রসারণ করেন। কিন্তু এতে চাবিশব্দটির ভাব ও ব্যবহার সংকোচিত হয় না, বৃদ্ধি পায়। যেমন:
বাকি জীবনটা সুখে নিদ্রা যেতে চাই-
ঘুমের গভীর তলদেশে শান্ত স্নিগ্ধ সন্তরণ!
কিন্তু একটানা দীর্ঘ ঘুমের কোনোই
অভিজ্ঞতা যে নেই আমার!
দুঃখকষ্টময় এই পরার্ধ-জীবনে
ছোট-ছোট ঘুমগুলো আমি
জোড়াতালি দিয়ে রাখি সারা দিনমান;
কুড়িয়ে-পাতিয়ে পাওয়া টুকরো-টুকরা ঘুমগুলো
সেলাইয়ের পর শরীরে জড়িয়ে আমি গভীর ঘুমাব!
(সেলাই-করা ঘুমগুলো আমার)
‘সেলাই’ শব্দের ভাবার্থ ও অনুষঙ্গকে তিনি যাপিতজীবনে টেনে এনেছেন, ঘুমের সঙ্গে জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছেন। মূল শব্দটির সঙ্গে ‘ঘুম’ ব্যবহার সেলাইয়ের ভাবপরিধি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পঙক্তি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে এটিই কবির মূল প্রবণতা হয়তো। অন্য সব কবিতাতেও চাবিশব্দের বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। আর এ বিষয়টির জন্যই তার কবিতায় প্রবন্ধের আবহ অনুভব করা যায়। তিনি নিজেও কবিতাগুলোকে একসময়ে ‘পদ্য-প্রবন্ধ’ বলে অভিহিত করতেন।
মৌলবীর মন ভালো নেই বইটিতে আছে শব্দের খেলা, শব্দের বিকল্প সন্ধানের চেষ্টা ও সফলতা। তবে তা বিষয় আড়ালের জন্য নয়। বরং তার শব্দ বিষয়কে উন্মোচন করে। আর এ প্রবণতা রফিক আজাদের অন্য সব কবিতাতেও দেখা গেছে।
শব্দ ব্যবহার ও বিষয়ের কারণে ‘বাস্তবতা থেকে অল্প দূরত্বে দাঁড়িয়ে’ কবিতাটি আমার কাছে নতুন ব্যঞ্জনা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। কবিতার প্রথম পঙ্ক্তিতে ‘কালো চশমা’ শব্দ দু’টি যে-অর্থে ব্যবহৃত হয়েছিল, শেষদিকে ‘সম্ভবত এই কালো বিড়ালটিকেই একটি অন্ধকার ঘরে/দার্শনিকেরা খুঁজে বেড়ান’! ‘কালো বিড়াল’ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তিনি সময় ও কালপ্রবাহের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। মেইক অ্যান্ড মেকিংয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের কারিশমা কবি রফিক আজাদের আধুনিক মননের পরিচয়। শব্দ ব্যবহার, ধ্বনিবোধ, কবিতা অন্তর্নিহিত শক্তির জন্য বাংলাভাষাভাষি পাঠককে কবি রফিক আজাদের কবিতা বারবার পড়তে হবে, হবেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৬
এসএস