ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

প্রদর্শনীতে পিকাসোর সবচেয়ে বড় চিত্রকর্ম

আহমেদ জুয়েল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১০
প্রদর্শনীতে পিকাসোর সবচেয়ে বড় চিত্রকর্ম

চিত্রশিল্পের কিংবদন্তি পাবলো পিকাসোর সবচেয়ে বড় চিত্রকর্ম লন্ডনের একটি প্রদর্শনীতে উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়াম।

‘রাশিয়ার ব্যালে নৃত্যের স্বর্ণযুগ (১৯০৯-১৯২৯)’ শিরোনামে ওই প্রদর্শনীতে দর্শকরা দেখতে পাবেন ৮৬ বছর আগে আঁকা পিকাসোর এই মাস্টারপিস।

চিত্রকর্মটি যে এবারই প্রথম দর্শকদের সামনে আসছে তা নয়। তারপরও এটি পৃথিবীময় শিল্পপ্রেমীদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। কারণ ৮০ বছরেরও বেশি সময় বাক্সবন্দি থাকার পর এই প্রথম পরিপূর্ণ একটি প্রদর্শনীতে এটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।

চিত্রকলায় কিউবিজমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পিকাসোর এই চিত্রকর্মটির দৈর্ঘ্য ৩৮ ফুট, প্রস্থ ৩৪ ফুট। দুই নারীর ব্যালে নৃত্যের একটি মুহূর্ত নিয়ে তিনি চিত্রকর্মটি এঁকেছিলেন ১৯২৪ সালে। অবশ্য এত বড় চিত্রকর্মটি পিকাসো নিজের হাতে আঁকেননি। তিনি ছোটো আকারে এঁকেছিলেন। পরে ওই ডিজাইন অনুসরণ করে বড় আকারে আঁকা হয়। সাতজন চিত্রশিল্পী তাকে এই বিশাল চিত্রটি আঁকতে সাহায্য করেছিলেন। এরপর তিনি ওই চিত্রে যোগ করেছিলেন তার সেই বিখ্যাত স্বাক্ষর।

১৯২৪ সালে আঁকার পর থেকে চিত্রকর্মটি বাক্সবন্দি ছিল। এটি প্রদর্শনের সমস্যাটিই বড় ছিল। কারণ এতবড় শিল্পকর্ম প্রদর্শন করার জায়গা পাওয়া সত্যিই মুশকিল। তাছাড়া এটি সংরক্ষণেরও সমস্যা ছিল। সংরক্ষণের জন্য ক্যানভাসটি জড়িয়ে পাইপের মতো গোল করে রাখার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কারণ জায়গা সঙ্কট। তাছাড়া এই দামি চিত্রটি খোলা জায়গায় বা করিডোরে ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে ওটাকে ভাঁজ করে বাক্সবন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। আর দীর্ঘ ৮০ বছর ওভাবে থাকার কারণে ভাঁজে ভাঁজে স্থায়ী দাগ পড়ে গেছে।

১৯৩৯ সালে প্যারিস এক্সিবিশনে স্বল্প সময়ের জন্য এটা বাক্স থেকে বের করা হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে ব্যালে সমালোচক রিচার্ড বাকল এটা কিনে নেন ৬৯ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডে। তার ইচ্ছা ছিল একটি আর্ট মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে পিকাসোর এই ঢাউস সাইজের চিত্রকর্মটি প্রদর্শন করা। কিন্তু মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা হলেও চিত্রকর্মটি ঝোলানোর মতো জায়গা পাওয়া যায়নি। তাই আবারও ওটার স্থান হয়েছিল বাক্সের মধ্যেই।

সর্বশেষ চিত্রকর্মটি খোলা হয়েছিল ২০০৩ সালে রয়েল অপেরা হাউসের মেঝেতে। উদ্দেশ্য ছিল থিয়েটার মিউজিয়ামের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। তবে এবার প্রদর্শনীতে পিকাসোর এই বিশাল আয়তনের চিত্রকর্মটি দীর্ঘদিন ধরেই দেখতে পাবেন শিল্পপ্রেমীরা। আর আশা করা হচ্ছে এবার আর বাক্সের মধ্যে নয়, ওটা যথাযথভাবে দরদের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হবে।

সূত্র : গার্ডিয়ান. ডেইলি মেইল ও বিবিসি

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২২৮, আগস্ট ০৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।