এস্রাজ
যেদিন ভ্রমণ করা হবে শুধু সেদিনের জন্য
আগের মতন-
ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে চাই,
গভীর বিস্ময়ে বিদ্যুৎ অনুভূতিতে-
পুনরায় পাঠাবো কী সঞ্জীবনীশক্তি!
প্রুফশিট কেটে সংশোধিত হবো
পুনর্লিখিত রূপের মধ্যে
তূর্যসংকেতে-
ঘূর্ণনের গতি জেগে ওঠে!
পুনর্গঠিত অনুরণন নিয়ে
তোমার এস্রাজ বাজাবো এবার।
নাভিস্থ জ্ঞান
মদনোৎসবে গিয়ে মতিভ্রম হলো-
সেই থেকে সুরাপায়ী- সেই থেকে সে মাতাল।
মদ্যপানের কারণে বিহ্বল ও মদলসা
-ভুল অংক কষা।
দৈত্যের খপ্পরে পড়ে যায়
তারপরও খোঁজে মথুরার বন
-নিজেকে উদ্ধার না করেই
প্রমোদবিহারে মত্ত হয়
ব্যাঙের মতন লাফিয়ে লাফিয়ে চলে
-মতিচ্ছন্ন হয়
নাভিস্থ জ্ঞান লুপ্ত হয়!
সবকিছু মণিদীপ্ত ভেবে
মণিপুর হারিয়ে ফেলেছে
হায়-কতজন এক মধূৎসবেই!
বিশোধন
বিশোধনে যাই-
জল শুদ্ধ হয় যেভাবে-সেভাবে আমি
সূক্ষ্ম মিহি স্তর পার হই।
পরিমার্জিত না হলে-পিঁপড়ে
আমাকেও ধরবে!
প্রতিবিম্ব দেখে বুঝে নেবে পাড়াপড়শী
গুপ্তবাসে কোন্ জন্তু আসে!
রাশ টেনে ধরে নিজেকে থামাতে হয়
কখনো কখনো বাগও মানাতে হয়।
ঝক্মক্ মগে কোন্ জল পড়ে আছে
পান করলেই বোঝা যাবে!
সংশোধনাগারে শুধুই জলই থাকে না
সেখানে নিজেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে যেতে হয়!
বিষধর লম্বা সাপ
তোষামোদ করে বায়ুচালিত ইঞ্জিন হাতে পেয়েছি এখন
ভয়ানক গতিতে চলেছি-
আকরিক লোহা গলে যাচ্ছে।
যাহারা আঘাত করবে-তাহারা শুকিয়ে যাচ্ছে
তিরস্কার করি-
অনায়াসে চোখে পড়ি
উচ্চকণ্ঠ ও নিলর্জ্জ হয়ে
ডাইনিবৃত্তিতে জাদুবিদ্যা দিয়ে
কতকিছু বর্ণহীন করে ফেলি-
সাদা-কালো কালিতে কত ছবি ঝাপসা করে ফেলি
কারো মুখ বন্ধ করি-কারো মুখ খুলি,
লোকচক্ষুর আড়ালে চিতাবাঘের চৈতন্য নষ্ট করে
বিষধর লম্বা সাপ হয়ে উঠি!
খুঁজে পাই গায়ক পাখির গান ছাড়া বনাঞ্চল!
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৬
এসএনএস