বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পী হাশেম খানের ৭৫তম জন্মদিন ১৬ এপ্রিল। সবার প্রিয় এ শিল্পী ১৯৪৬ সালের এই দিনে চাঁদপুরের শেখদি গ্রামে জন্ম নেন।
মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শিল্পী হাশেম খানের ভূমিকা অসামান্য। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের সঙ্গে কচি-কাঁচার মেলা গড়ে তুলেছিলেন। আজকাল শিশুদের যে চিত্রকলা প্রতিযোগিতা হয় তার পথিকৃৎও তিনি। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, ঢাকা নগর জাদুঘর, টাকা জাদুঘর গড়ে তুলতে সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকার তাকে একুশে পুরস্কার ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে।
বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের অন্যতম রূপকার তিনি। শিশুতোষ গ্রন্থ যদি চিত্রিত না হয় তাহলে একজন শিশুর মনোজগৎ আকর্ষণ করে না। গত ৫০ বছর হাশেম খান যে কতো বইয়ের ছবি এঁকে শিশুদের চিত্ত জয় করেছেন তা বলার নয়।
শিল্পী হাশেম খানের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এক আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন হাশেম খানের লেখা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘কটিক’ ও বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের লেখা ‘হাশেম খানের কাজ’ গ্রন্থদু’টির মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৬
এসএনএস