ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আড্ডা-কবিতায় শেষ হলো দক্ষিণবাংলা গ্রন্থ উৎসব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
আড্ডা-কবিতায় শেষ হলো দক্ষিণবাংলা গ্রন্থ উৎসব অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: কবিতা পাঠ, আলোচনা ও আড্ডার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো বরিশালের দিনব্যাপী দক্ষিণবাংলা গ্রন্থ উৎসব-২০১৯।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে আমাদের লেখালেখি, বরিশাল ও দখিনের কবিয়াল, পটুয়াখালীর যৌথ আয়োজনে নগরের সদররোডস্থ বিডিএস মিলনায়তনে এ গ্রন্থ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এর পরপরই জাতীয় সংঙ্গীতের মধ্য দিয়ে দক্ষিণবাংলা গ্রন্থ উৎসব-২০১৯ উদ্বোধন হয়।

দিনব্যাপী দু’টি পৃথক অধি‌বেশ‌নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে অতিথিদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করা হয়। পরে লেখকদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

দক্ষিণবাংলা গ্রন্থ উৎসব ২০১৯-এর আহ্বায়ক কবি শফিক আমিনের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক‌বি সরদার ফারুক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পটুয়াখলীস্থ দখিনের কবিয়ালের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাধেশ্যাম দেবনাথ কবি, আমাদের লেখালেখির প্রধান উপদেষ্টা ডা. ভাস্কর সাহা, আমাদের লেখালেখির ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি কবি মাহমুদা খানম ও পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি কবি অলোক মিত্র, লেখক সাইফুল্লাহ নবীন।

দ্বিতীয় অধিবেশনে আমাদের লেখালেখির মাহামুদ অর্কের সঞ্চালনায় দখিনের কবিয়ালের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন মানিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি এবং কবিতার সম্পাদক কবি শাহীন রেজা।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এ অনুষ্ঠান যেন না হয়, তার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কে কী কারণে করেছেন, তা বলবো না। তবে, একটি শব্দ হচ্ছে ঈর্ষা। এর কারণে অনেক কিছুই হতে পারে। তারপরও অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে। কবিতা কিংবা সাহিত্যের হার হতে পারে না।

তিনি বলেন, আদর্শ হৃদয়ে ধারণের পাশাপাশি কাজেও থাকা উচিত। সাহিত্যকে ভালোবেসে এখানে সবাই এসেছি, কোনো দলবাজি করতে নয়। আজকের অনুষ্ঠান আমাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বাড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজ

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাব্যলোকের পরিচালক কথা সাহিত্যিক মাহবুব লাভলু, ঢাকাস্থ অনুশীলন সাহিত্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কবি অর্ণব আশিক, বহুমাত্রিক লেখক ও কথাসাহিত্যিক নাসিম আনোয়ার, বেগম ফয়েজুন্নাহার শেলী।

কবি অর্ণব আশিক বলেন, কবিতা হচ্ছে কালনির্ভর। যে শব্দগুলো প্রাচীনকালে ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোই আমরা আমাদের মতো করে আধুনিক রূপে লিখছি।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে মৌলবাদীরা ছিল না, কিন্তু সাংস্কৃতিক কর্মীরা ছিল। তাই স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার তাদের রয়েছে।

তারা বলেন, এ ধরনের আয়োজন লেখার আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখবে। তাই গ্রন্থ উৎসবের মতো এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার আহবান জানান বক্তারা।

এদিকে, প্রথম অধিবেশনে কবি নাসির আহমেদ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। তবে, উৎসবে সামিল হতে তিনি নিজের একটি বই আয়োজকদের উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। পরে, তার একটি ভিডিওবার্তা আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে প্রচার করা হয়।

২০১৮ সালের গ্রন্থ উৎসবের পর থেকে এ পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশালের লেখকদের মধ্যে যাদের এক বা একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে, শুধু তাদেরই এবারের উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।