শুক্রবার রাতে শহরের ম্যাক্স মোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা, শিশু সংগঠক অ্যাড. পলাশ খন্দকার।
প্রাবন্ধিক এস এম আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, কথাসাহিত্যিক সাজাহান সাকিদার, সংগঠনের উপদেষ্টা আতিকুর রহমান মিঠু, সংশপ্তক থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সুজন, কবিপুত্র নাজিম আনওয়ার রূপম, কবি-গল্পকার এমরান কবির।
অন্যান্যদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা, কবি নজমল হক খান, কবি মীর আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ বুলান্দ আখতার, থিয়েটার আইডিয়ার পরিচালক নিভা সরকার পূর্ণিমা, কথাসাহিত্যিক হোসনে আরা মনি, কথাসাহিত্যিক আব্দুর রাজ্জাক বকুল, ছড়াকার আমির খসরু সেলিম।
স্মরণসভায় লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার জন্য ‘একতারা’ সম্পাদক কবি মতিয়ার রহমানকে ‘কবি সম্পাদক আন্ওয়ার আহমদ স্মৃতিপদক ২০১৯’ প্রদান করা হয়।
এছাড়া অরিন্দম মাহমুদ সম্পাদিত ‘পালকি’ আন্ওয়ার আহমদ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে কবির জীবনী পাঠ করেন রুবী রুমানা। আন্ওয়ার আহমদের কবিতা পাঠ করেন সজীব মাহমুদ ও আহমেদ সাব্বির। নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম ও মুহাম্মদ ইলিয়াস উদ্দিন।
স্মরণসভায় প্রবাসী লেখক কবি শামস আল মমীন একক ১০টি কবিতা পাঠ করেন।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, আন্ওয়ার আহমদ সারাজীবন নিঃস্বার্থভাবে সাহিত্যের জন্য কাজ করে গেছেন। লেখক তৈরিতে তার অবদান ছিল অসামান্য। তিনি সম্পাদক হিসেবে ছিলেন আগ্রাসী। বক্তারা তাকে সাহিত্যের শহীদ বলে আখ্যা দেন। সম্পাদক হিসেবে তিনি সব সময় লেখকদেরকে লেখা তৈরিতে তাড়া দিয়েছেন। বর্তমানের অনেক বিখ্যাত লেখকের জন্ম তার হাত দিয়ে। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক।
বক্তারা আরো বলেন, তরুণদের পাঠের মাধ্যমেই আন্ওয়ার আহমদ বেঁচে থাকবেন। কেননা তিনি ছিলেন চিরতরুণ।
উল্লেখ্য, কবি সাংবাদিক সম্পাদক আন্ওয়ার আহমদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৩ মার্চ বগুড়ায়। তিনি ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।