ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

পুরান ঢাকায় শুরু হলো সৈয়দ শামসুল হক হলের পথচলা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
পুরান ঢাকায় শুরু হলো সৈয়দ শামসুল হক হলের পথচলা

ঢাকা: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। তার সঙ্গে রাজধানীর পুরান ঢাকার রয়েছে গভীর এক সম্পর্ক।

লেখকের ‘আমার শহর’ কবিতার প্রতিটি লাইনে প্রতিবিম্বিত হয়েছে ঢাকা শহরের বিচিত্র সব রূপ। দীর্ঘ সময় লেখক বসবাস করেছেন পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে। এবার তার পুরনো সেই বাসস্থানের পাশেই উদ্বোধন করা হলো লেখকের নামে নামাঙ্কিত ‘সৈয়দ শামসুল হক হল’।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) লেখক সৈয়দ শামসুল হকের চতুর্থ প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের চাউল্ড হ্যাভেন স্কুল ভবনে উদ্বোধন করা হয় এ মঞ্চের। মৈত্রী থিয়েটার ও শৌখিন থিয়েটারের যৌথ তত্ত্বাবধানে এখন থেকে শিল্প-সাহিত্যে ভূমিকা রাখবে এই স্টুডিও থিয়েটার হলটি।

দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম পীঠস্থান পুরান ঢাকায় তেমন কোনো নাট্যমঞ্চ নেই বললেই চলে। সেখানে নতুন এই মঞ্চটি নাট্য রসিকদের বিনোদনের কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলেই আশা করছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। একই সঙ্গে যেহেতু সৈয়দ শামসুল হকের অস্তিত্ব মিশে রয়েছে পুরান ঢাকার অলিগলিতে, যেহেতু বিউটি বোর্ডিংয়ে বসে লেখকের প্রথম জীবনের অসংখ্য উপন্যাস গল্প লেখার স্মৃতি রয়েছে। সেদিক থেকেও এই মঞ্চটি এই এলাকার গুরুত্ব পেয়েছে ঐতিহাসিকভাবে।

বিকেলে ভার্চ্যুয়ালভাবে সৈয়দ শামসুল হক হলের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতিজন আসাদুজ্জামান নূর। অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। তবে তার শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানে।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এটা নিঃসন্দেহে খুশির সংবাদ যে পুরান ঢাকায় নাট্য সংগঠনের উদ্যোগে স্টুডিও থিয়েটার প্রতিষ্ঠা পেলো। সৈয়দ শামসুল হকের নামে তার নামকরণ করায় তা ঐতিহাসিক গুরুত্ব পেয়েছে। কেননা মঞ্চটি তার আদি নিবাসের পাশেই অবস্থিত। করোনাকাল কেটে যাক, নিয়মিত নাটক প্রদর্শনী আর দর্শক কলাকুশলীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠুক নাট্যাঙ্গন, এটাই প্রত্যাশা।

আনোয়ার সৈয়দ হক বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের নামে হলটির নামকরণ করায় তা আমাদের জন্য বিশেষ আনন্দের দিন। আমাদের পরিবারের প্রত্যাশা ছোট আকারে হলেও প্রতি সন্ধ্যায় এই মঞ্চে নাটক অভিনীত হোক, দর্শকে পূর্ণ থাকুক হল, মানুষের মননের জগতে ফুটে উঠুক শুভ্রতা।

উদ্বোধনী পর্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, তরুণ কবি ও প্রাবন্ধিক পিয়াস মজিদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ গিয়াস, লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস, আদি ঢাকা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মানস বোস বাবুরাম, শৌখিন থিয়েটারের প্রধান নির্বাহী হামিদুর রহমান পাপ্পু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মো. আহসান সিদ্দিকী। সঞ্চালনা করেন মৈত্রী থিয়েটারের দলপ্রধান নিয়াজ আহমেদ।

নাট্যমঞ্চ উদ্বোধন ও আলোচনা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপরে ছিল নাটক প্রদর্শনী। গতকাল উৎসবের উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হয় শৌখিন থিয়েটারের প্রযোজনা মনোজ মিত্রের নাটক ‘প্রভাত ফিরে এসো’। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন হামিদুর রহমান পাপ্পু। এতে বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেন হামিদুর রহমান পাপ্পু, সূচনা, মো. আলমগীর, নিয়াজ আহমেদ ও আজমীরা মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।