শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১১ এর মতো ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে।
আমরা আর ২০০১ এর মতো কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেব না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, গত ১৫ আগস্টে আরেকটি ‘১৫ আগস্ট’ ঘটানোর জঙ্গিবাদী বোমা হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিএনপির মনে এখন বড় কষ্ট, কেন শেখ হাসিনা আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা গেল না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, লন্ডন ব্যাংককসহ কোথায় কোথায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে সব আমরা জানি। এই তথ্য প্রবাহের যুগে কোনো কিছু অজানা থাকে না। কারা কারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত সব খবর সরকারের কাছে আছে। ইতিহাসের সব ষড়যন্ত্র, সব রক্তের দাগ ধারণ করে আছে বিএনপি। তারা ষড়যন্ত্র করে আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। গণতন্ত্র তাদের কাম্য না। আপনার সবার ঐক্যবদ্ধ হন, এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নীলফামারীতে গিয়ে ফটোসেশন করেছে। আমি ওখানে জিজ্ঞাসা করেছি কোনো ত্রাণ দিয়েছে কিনা কেউ বলতে পারে না। ফটোসেশন করে ঢাকায় এসে এখন ঘরে বসে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনতার রুদ্র রোষে তারা ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটতে পারেনি। ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটা উৎসব বন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপির মঠবাড়িয়া উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছিলো ১৫ আগস্টের একদিন আগে বা পরে কেক কাটলে কি হয়। তার বিএনপির সদস্য পদ স্থগিত ও তাকে শোকজ করা হয়েছে। জনতার রোষানলের ভয়ে কেক কাটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু সুযোগ পেলে তারা কেক কাটতো এর কোনো সন্দেহ নেই। যারা জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্ম দিনের কেক কেটে উৎসব করে, আমাদের হৃদয়ে, অনুভূতিতে আঘাত দেয়, তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। তাদের সঙ্গে আমরা কিসের সংলাপ করবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাদের রঙিন স্বপন কপুরের মতো উড়ে যাচ্ছে। তারা এখন বলছে আদালত সংসদ ভেঙে দেওয়ার রায় দিলে ভালো হয়। এটা যেনো মামা বাড়িরর আবদার। এরপর হয় তো তারা বলবে আদালত সুয়োমুটো দিয়ে বিএনপির ক্ষমতায় বসিয়ে দিলে ভালো হয়। আদালত এটা করলে তাদের মামা বাড়ির আবদার পূরণ হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীরর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, ফজলুল হক আতিক, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এসকে/এসএইচ