শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রীয় আবেদন খারিজ করে দিলেই সবকিছু শেষ হয়ে যায় না।
বিতর্কিত মন্তব্য করে ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের পর এই প্রথম গণমাধ্যমের সামনে এলেন লতিফ সিদ্দিকী।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে সমালোচনা করে মতামত দিলেও সাংবাদিকদের অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কখনও জনবিচ্ছিন্ন ছিলাম না, বিদ্যমান অবস্থায় দলবিচ্ছিন্ন। তাই বলে দায়িত্ব এড়াতে পারি না। দায়িত্ববোধে তাড়িত হয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত স্পষ্ট করতে চাই।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই ব্যাপারটা আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সঠিক কৌশল নিলেও অন্যরা ষড়যন্ত্রকে উসকে দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মেয়াদ শেষে অবসরে যাবেন। এভাবে পাল্টাপাল্টি করে কিছু হবে না। বিচারক নিয়োগ দলীয় আনুগত্যে হয়। এক সময় শাসকগোষ্ঠী তাদের মতাদর্শী সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারক নিয়োগ দিতে পারবেন। ফলে কোনো বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হবে না।
তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ও মতামত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত স্বাধীনতাবিরোধী এবং বঙ্গবন্ধুবিরোধী শক্তি যত বিদ্রুপ কদর্য মন্তব্য করেছে তার চেয়েও অনেকেই ক্ষুব্ধ।
‘আমার সংসদ সদস্য পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশন যখন তার এখতিয়ার বহির্ভূত নোটিশ দেয় তখন উচ্চ আদালত কিন্তু নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান বহির্ভূত কাজে বিরত রাখতে কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। ’
সংবাদ সম্মেলনে লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তার স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭/আপডেট: ২২১৮ ঘণ্টা
এসকে/এমএ