সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকেই খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
‘এমনকি, সে সময় তারা বিচারের পথও বন্ধ করে দিয়েছিলো। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সোচ্চার থাকতে হবে। কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ’
যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ আসকারি।
ইবি উপাচার্য বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীতে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের অনেক উদাহরণ আছে। সেই সব হত্যাকাণ্ডে শুধু মাত্র একজন ব্যক্তি টার্গেট ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার টার্গেট করেনি। তারা স্বপরিবারে হত্যা করেছে। মাসুম বাচ্চা শিশু রাসেলও রেহাই পায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলো গভীর ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ একইসূত্রে গাঁথা। সেখানে তৃতীয় কোন পক্ষের অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শোকাবহ আগস্ট পালন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুনিবুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেলালুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাজ্জাদুল আলম রনি, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত কুমার বিশ্বাস, শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি সুমাইয়া আজমিরা এরিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
জিপি