বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মীনারের সামনে জবি নীলদলের এক অংশের আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শিক্ষক নেতারা।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড আবুল হোসেন বলেন, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাঙালি সন্ত্রাসী বলে নির্বিচারে হত্যা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে পড়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জবির সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন অবর্ণনীয়। মিয়ানমার সামরিক জান্তারা আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে, পিটিয়ে, গলি করে, জবাই করে হত্যার করেছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে নাফ নদী পেরিয়ে শরণার্থী হয়েছে। এ অসহায় রোহিঙ্গাদের নদী পারাপারের জন্য মাঝিরা মাথাপিছু চার হাজার থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন. এটি জঘন্য অপরাধ। এসব দালাল মাঝিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোড়ালো করে শর্ত ছাড়াই তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নীলদলের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সফল প্রচেষ্টার কারণে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অং সং সু চির সরকারকে যে সহযোগীতা করতো তা ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- জবি নীলদলের একাংশের সহ-সভাপতি ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, সাবেক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, জবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
ডিআর/জিপি