বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্রকে সংহত করার ক্ষেত্রে বিএনপি অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের নেতিবাচক বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর জনগণের কাছে সব সময় ভোট চাওয়ার রাজনৈতিক এবং মৌলিক অধিকার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বিধায় তিনি জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। এটার সমালোচনা করা মানেই তারা (বিএনপি) জনগণের ভোট চায়া না। তারা চায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে। তারা অন্য কারো ভোট চাওয়াকে ভালো চোখে দেখে না।
বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, আপনারাও জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চান এবং অন্য কেউ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করলে সেটি নিয়ে সমালোচনা করবেন না।
ড. মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার রোগ নির্ণয়ের আগেই তারা (বিএনপি) বললেন তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে হবে চিকিৎসার জন্য। তাহলে কি তারা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চায়?
বিএনপি একটি উদ্ভ্রান্ত দলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপি নেতাদের ইদানিংকালের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে বিএনপি একটি উদ্ভ্রান্ত দলে পরিণত হয়েছে এবং রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্য উদ্ভ্রান্তের প্রলাপ ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
দুদক নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুদক নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে বিধায় আওয়ামী লীগ বিএনপি নির্বিশেষে সবার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। আওয়ামী লীগের এমপিরাও গ্রেফতার হয়েছেন, দুদকে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা দুদকের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কারা সরকারের কাছ থেকে ঢাকা শহরে জমি নিয়ে পাঁচতারা হোটেল করেছেন আমাদের জানা আছে। বিএনপি নেতা কারা সরকারের কাছ থেকে জমি নিয়ে অট্টালিকা বানিয়েছেন সেটিও আমাদের জানা আছে। দুদক এখনো সেগুলো অনুসন্ধান করে নাই। দুদককে বলবো দয়া করে সেগুলো একটু অনুসন্ধান করুন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় সমস্ত পৃথিবী প্রশংসা করছে কিন্তু বিএনপি চোখ থাকিতে অন্ধ, কান থাকিতে বধির; দেশের উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। কিছু কিছু কাগজেও কোনো প্রশংসা নাই বরং সমালোচনা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংসদ সদস্য নাভানা আক্তার, কামাল চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলি খান জিন্নাহ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এমজেএফ