আহতরা হলেন- অর্থনীতি বিভাগের মোস্তফা, বায়োকেমিস্টি বিভাগের সাজ্জাদ বায়ো ও আইআইটি বিভাগের বাহার। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ও বর্তমান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ৬ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাজিব আহমেদ রাসেল তার স্ত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। এসময় বর্তমান সম্পাদক চঞ্চলের সঙ্গে বাকবিতন্ডা এবং হাতহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি রাজিবের অনুসারীরা জানতে পেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চঞ্চলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘চঞ্চল আমার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অপমান করে। ’
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাজিব আহমেদ রাসেলের আগেও আমার ওপর চড়াও হয়েছিল। আমাকে লাঞ্ছিত করেছিল। আমাকে সে নানা বিষয়ে প্রেশার ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। আমি বারবারই এসব না করতে নিষেধ করেছি। এসব কারণে সে ক্যাম্পাসে আসলে আমি গিয়ে বলেছি যেন সে ক্যাম্পাস থেকে চলে যায়। কারণ পোলাপান তার ওপর ক্ষেপে আছে। এসময় তার ওয়াইফ ভিডিও করতে থাকলে বাকবিতন্ডা হয়। পরে তার লোকজন রবীন্দ্রনাথ ও সাদ্দামের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমন চালায়। ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ’
৬ রাউন্ড গুলি বিনিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে রেড দেওয়া সময়ের দাবি। আমরা রেড দেওয়ার কথা ভাবছি। ’
গত ১৫ ডিসেম্বর নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ এনে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চঞ্চলকে মারধর করে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
জিপি