হানিফ বলেন, ফণীর যে মাত্রায় আঘাত হানার ও ক্ষয়ক্ষতির যে আশঙ্কা ছিলো সেটি হয়নি। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিলো।
শনিবার (০৪ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর ভয়াবহ আঘাত হানার যে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিলো সেটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎপেক্ষণ করা হয়। ফণী ২০০০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগাম তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে ফণী উড়িষ্যায় যে মাত্রায় আঘাত করেছে সেটি দুর্বল হয়ে ভয়াবহতা কমে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিলো ক্ষয়ক্ষতির যে আশঙ্কা ছিলো সেটা কেটে গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। ১৯টি জেলার প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছিলো। প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওইসব জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মানুষের সার্বিক সহযোগীতায় প্রস্তুতি নেয় এবং এগিয়ে আসে। কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা মনিটরিং সেল গঠন করে মনিটর করছি। উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের মনিটরিং সেলে ১০০টি ফোন আসে। তারা তাদের এলাকার সমস্যার কথা জানালে তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং সমস্যার সমাধান হয়েছে। যেসব এলাকায় ক্ষতি হয়েছে আমরা তার তথ্য নিচ্ছি। ফণীর প্রভাব কমে গেলে আওয়াম লীগের টিম যাবে।
সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে হানিফ বলেন, সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে সবাই জানে। এবার যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিলো ইতিহাসে এর আগে এতো প্রস্তুতির কোনো রেকর্ড নেই। যে ১৫ জনের প্রাণহানী হয়েছে তার মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন বজ্রপাতে। এই প্রাকৃতিক আঘাত কি করে ঠেকানো সম্ভব? তাদের এই অভিযোগ মিথ্যাচার, নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। তাদের এসব কথা অনেকে পাগলের প্রলাপ বলে মনে করে। তাদের প্রতি ধিক্কার ও করুণা জানাই। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। তারা নিজেদের সমস্যাগুলো ঢাকার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, একেএম এনামুল হক শামীম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাম, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসকে/জেডএস