বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাদের এ তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণভবনে প্রথমেই ডেঙ্গু বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন- এখন একটাই কাজ প্রাণঘাতী এই ডেঙ্গু নির্মূল করতে হবে। আমাদের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেইসঙ্গে বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় কাজ করতে হবে। আমরা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী এবং বন্যার্তদের পাশে ২৪ ঘণ্টাই আছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক যুগের বেশি সময় কারাগার ছিলেন। এ সময় বেগম মুজিব শুধু পরিবারকেই সামলাননি, সেইসঙ্গে আওয়ামী পরিবারকেও সামলে নিয়েছেন। সেই দুঃসময়ে তিনি আওয়ামী লীগের তহবিল পর্যন্ত সরবরাহ করেছেন। বেগম মুজিবের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতায়ই শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। তার অবদান কোনোভাবেই অনস্বীকার্য নয়। তিনি নেপথ্যে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বাঙালি জাতির বীরমাতা।
বিরোধী দলের ভূমিকার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা সরকারের সমালোচনা করছেন, কিন্তু সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এবং বন্যার্তদের জন্য প্রেস ব্রিফিং ও লিফলেট বিতরণ ছাড়া কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন? আপনারা আগে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুন, তারপর সরকারের সমালোচনা করবেন।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা ঈদ করতে গ্রামের বাড়ির দিকে যাত্রা করবেন, তারা রক্ত পরীক্ষা করে তারপর বাড়ি যাবেন। কারণ বাড়িতে যাওয়ার পর যদি ডেঙ্গু ভয়াবহভাবে আপনাকে আক্রান্ত করে তখন আপনার জীবন নিয়ে সংশয় দেখা দেবে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
সভা শেষে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ এবং বন্যার্ত অসহায়-সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, মশারি এবং ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। সভাপতিত্ব করেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
আরকেআর/এইচএ/