শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওসমান উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
আটকরা হলেন, তারাব আলী (৬০) ও এরশাদ আলী (৩৫)।
শনিবার সকালে হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গ্রুপ এবং তারাব আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ওসমান নিহত হন। একইসঙ্গে আহত হন নয়জন।
আহতরা হলেন, চেয়ারম্যান মজিদ গ্রুপের শামছুল আলম (৫২), রহিমা বেগম (৫৫), শরিফ (২৫) ও সাইদুল (২৫)। এর মধ্যে শামসুল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপরদিকে, তারাব আলী গ্রুপের হোসেন আলী (৪৫), পালো আলী (২৫), গোলজার সরকার (৪৫), কালু (২২) ও রমজান আলী (২২) আহত হন।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গ্রুপের সঙ্গে তারাব আলী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
টিএ