সোমবার (২ সেপ্টেন্বর) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা (সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী) মো. মেহেদী হাসান।
এর আগে মেহেদী হাসান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে মামলার আবেদন করেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে মেহেদী হাসান উচ্চ আদালতে যাবেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদে যেতে বয়স ২৮ বছরের মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক। ইব্রাহিমের ২৮ বছরের বেশি হওয়ায় তিনি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাসনদ গোপন করে আরেক মো. ইব্রাহিমের জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাসনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম মো. ইব্রাহিম এবং পিতার নাম মো. আদম আলী পত্তর, মাতা-শাহানারা আক্তার এবং জন্ম তারিখ ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি। অথচ দাখিল করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম মো. ইব্রাহিম থাকলেও পিতার নাম মো. ইউনুস আলী, মাতা- মেহেরুননেছা এবং জন্ম তারিখ ১৯৯০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ আছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরেও ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়া তিনি একই ব্যক্তির শিক্ষাসনদও আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান বলেন, ওই মিথ্যা আবেদনের ওপর ভিত্তি করে গত বছরের ৩১ জুলাই ইব্রাহিমকে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ১১ ও ১২ মে সম্মেলনের দিন ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ২৮ বছর করেন। কিন্তু ইব্রাহিমের প্রকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সম্মেলনের দিন পর্যন্ত বয়স ২৯ বছর হওয়ার কারণে ২৮ বছরের মধ্যে রাখতে অন্যের এনআইডি ও শিক্ষাসনদ জমা দেন তিনি।
পদবঞ্চিত মেহেদী আরও বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হয়ে ইব্রাহিম গত এক বছরে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি মহানগর উত্তরের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, বয়স উত্তীর্ণ, মাদকসেবী, ছাত্রশিবির-জামায়াত ও ছাত্রদল কর্মীদের পদ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/