শুক্রবার (৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের একথা জানান। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টিতে যারা এসেছেন তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী নন। অনেক ক্লিন ইমেজের ভালো লোক আমাদের পার্টিতে এসেছেন। যাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সংশ্লিষ্টতা, মামলা ও দুর্নীতির অভিযোগ নেই, তারা অনুপ্রবেশকারী নন। যাদের সাম্প্রদায়িক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে, বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত, তারাই অনুপ্রবেশকারী। আমাদের নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তাদের দল থেকে বের করে দিতে বলেছেন। আওয়ামী লীগে বিতর্কিত ছাড়া কেউ বাদ পড়ে না। হয়তো এক পদ থেকে আরেক পদে যায়, পদ পরিবর্তন হয়। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের দলত্যাগ তাদের নেতিবাচক রাজনীতির পরিণতি
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পদত্যাগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি। আমি শুধু এটাই বলবো।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের মধ্যে সব তিক্ততার অবসান ঘটবে। কেউ কারও বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, সুস্থ প্রতিযোগিতা হবে, কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা হবে না। দলের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে জেলা, মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যেসব জায়গায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সেগুলো পুনর্গঠন হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
এর আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসকে/এইচএ/