বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন সরকার।
এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, দ্রুত বিচার আদালতে অভিযোগটি দায়ের করা হয়। ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান বাদীর বয়ান শুনে লিপিবদ্ধ করেছেন। বিষয়টি আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন বিভিন্ন সময়ে বাদীসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে এক কোটি ৯৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন বাদী। অভিযোগের অনুলিপি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুর্নীতি দমন কমিশনেও দেওয়া হয়েছে। এরপরও এমপি স্বপন বাদী আবুল হোসেন সরকারের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে এমপি স্বপনের নেতৃত্বে দিনারসহ অন্যান্য আসামিরা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাঘাবাড়ি এলাকায় বাদীর অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা আলমিরা ভেঙে ১০ লাখ টাকা লুট করে এবং বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও ড. মাজহারুল ইসলামের ছবি ভাঙচুর করে বাদীর অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশিকুল হক দিনার জানান, বাদীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনার দিন এমপি সাহেব ও আমরা ঘটনাস্থলে যাইনি। বাদী মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, আমি দলের এমপি ও সভাপতি। অস্ত্র হাতে নিয়ে নিজ দলেরই অফিস ভাঙবো এটা পাগলও বিশ্বাস করবে না। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি আদালতে আমার ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি আদালত অভিযোগটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত সত্য মিথ্যা যাচাই করবেন।
তিনি আরও বলেন, একই ব্যক্তি দলের বিভিন্ন ফোরামে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তাদের কাছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সিদ্ধান্ত দেয় আমি তা মেনে নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এনটি