ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

আস্থা অর্জন করে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটে নির্বাচিত হতে হবে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
আস্থা অর্জন করে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটে নির্বাচিত হতে হবে বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে কাজ করতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনের শুরুতে তিনি এ আহ্বান জানান। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে নির্মিত প্যান্ডেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই অধিবেশন।

বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১০ বছরে বাংলাদেশে অনেক এগিয়েছে। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। সেক্ষেত্রে আমি তিনটি কথা বলবো- সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আমাদের সেভাবে কাজ করতে হবে, মানুষ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যেন জনগণের সেবা করতে পারি। কী পেলাম না পেলাম সে চিন্তা না করে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

এসময় সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সবাইকে জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান ১৯৮১ সাল থেকে টানা আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বপালনকারী শেখ হাসিনা।

টানা তিনবারসহ চারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বভাবতই ক্ষমতায় থাকলে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যায় না। কিন্তু আমরা সেটা করতে পেরেছি। আমরা মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি, তা ধরে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমসহ সামগ্রিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যে জনগণের সেবা করতে পারে, জনগণের কল্যাণ করতে পারে তা এদেশের মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।

জাতির পিতার অবদান ও আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনভাবে সংগঠনটি গড়ে তোলেন, এর মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেন।

আওয়ামী লীগের ত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত অর্জন রয়েছে তা করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি শহীদ হন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়া এবং তার পরবর্তী বাংলাদেশের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর গণতন্ত্র ছিল না। দেশে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুর্নীতি, অপশাসন, ছাত্রসমাজের অবক্ষয়ের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

কাউন্সিলরদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সবাইকে জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলতে হবে। যেসব জেলায় এখনো সম্মেলন হয়নি সেগুলো দ্রুত করতে হবে। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই স্বাধীনতার অধিকার যেন মানুষ পায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর বক্তব্য রাখছেন জেলা পর্যায়ের নেতারা। কাউন্সিলে আট বিভাগের আটটি জেলার নেতাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। তবে শনিবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে নেতার নাম ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন> বিকেলের আগেই আ’লীগের নতুন নেতা নির্বাচন

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ