ঢাকা: স্পর্শকাতর ঘটনায় অপরাধী শনাক্ত করতে দেশে ডিএনএ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কি, ময়না তদন্তের পদ্ধতি এখনও সেই মান্ধাতা আমলেই পড়ে আছে! মঙ্গলে মানুষের পাঠানো অত্যাধুনিক রোবটযান `কিউরিওসিটি` অবতরণ করলেও, কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো পড়ে আছে ঘোর তিমিরে।
ময়না তদন্তের অন্যান্য ক্ষেত্রেও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নেই তেমন। আর দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোর ফরেনসিক মেডিসিন ও টকসিকোলোজি বিভাগে আলামত সংরক্ষণেরও কোনো ব্যবস্থাই নেই। অত্যাধুনিক ব্যবস্থা তো দূরের কথা!
এসব বিষয় স্বীকার করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ আধুনিক করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ, উপকরণ ব্যবহারে প্রশিক্ষণ, লাশ ও আলামত সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা এবং লোকবল সংকট দূর করা জরুরি।
তাদের মতে, ময়না তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবং মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিভাগীয় পর্যায়ে রাসয়নিক পরীক্ষাগার করা এখন সময়ের দাবি। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আনতে বিকল্প আলমত সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও মনিটরিং ব্যবস্থাও থাকা দরকার।
এছাড়া জেলা পর্যায়ে ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নেই। সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ছাড়াই ময়না তদন্ত করা হয়। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহের তেমন কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাধারণ চিকিৎসকরা তা সংগ্রহ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
যে কারণে মাথার খুলি কাটতে হয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে মৃতের শরীরের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। মস্তিষ্কে আঘাত রয়েছে কিনা এবং মাথার অভ্যন্তরে আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা জানতে মাথার খুলি কাটতে হয়। আর ব্রেইন হেমারেজ (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) ঘটেছে কিনা তা পরীক্ষা করার প্রয়োজনে ময়না তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মরদেহের মাথার খুলি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কাটার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
যে কারণে হাতুড়ি-বাটাল
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ দেশের অন্যান্য হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের দিকে মানুষের মাথার খুলি কাটতে আধুনিক ব্যবস্থা হিসেবে ইলেকট্রিক ‘শ’ (করাত) চালু করা হলেও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে তা ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া শুরুতে অজ্ঞতা নিয়ে এটি ব্যবহার করতে গিয়ে ইলেকট্রিক ‘শ’ ভেঙ্গেও গেছে। তাই এখনও বাটালে হাতুড়ি পিটিয়ে মাথার খুলি কেটে এ পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থায় দেখা যায়, ময়নাতদন্তের সময়ে মৃতের আত্মীয়-স্বজনরা বাইরে অপেক্ষা করেন। আর লাশকাটা ঘরে হাতুড়ি পিটিয়ে ডোম ঠট ঠট শব্দে কাটতে থাকেন মাথার খুলি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে একটা ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ সঠিকভাবে মাথার খুলি কাটা না হলে এবং খুলি কাটতে গিয়ে ব্রেনে চোট লাগলে পরীক্ষায় জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “দেশের অন্য হাসপাতালগুলোর তুলনায় এখানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। ”
তিনি জানান, এখানে খুলি কাটার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক করাত ব্যবহার করা হয়।
হিমঘর নেই
বিশেষজ্ঞদের মতে, লাশ সংরক্ষণে মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে হিমঘর নেই। এমনকি ফ্রিজ নষ্ট থাকায় এবং অবহেলার কারণে বেশিরভাগ হাসপাতাল মর্গে ফ্রিজিং ছাড়াই লাশ ফেলে রাখা হয় দীর্ঘসময়। এতে লাশে পচন ধরে এবং পরীক্ষায় সৃষ্টি হয় জটিলতা, ফলাফলেও দেখা দেয় অস্পষ্টতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিমঘর না থাকলে আর লাশ ওপেন (কাটা-ছেঁড়া) করতে দেরি হলে পচে (ডিকম্পোজ্ড) যাওয়ার আশংকা থাকে। এ সুযোগ নিয়ে অসাধু বিশেষজ্ঞরা রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবিত হতে পারেন। যা মৃতের স্বজনদের ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের পর পুনর্পরীক্ষার ক্ষেত্রে পূর্বের রিপোর্ট বহাল রাখা বা ‘মতামত দেয়া গেলো না’ উল্লেখ করে রিপোর্ট দিতে বাধ্য হন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এটি ঘটে লাশ পচে যাওয়ার কারণে।
পচে যাওয়া লাশের ক্ষেত্রে ‘বডি ডিকম্পোজ্ড, মতামত দেওয়া গেলো না’ বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে। অসাধু বিশেষজ্ঞরা এই সুযোগ নিতে পারেন উন্নত ফ্রিজ বা হিমঘর না থাকলে।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরীক্ষা ও জবাবদিহি
অস্বাভাবিক ও রহস্যজনক মৃত্যু এবং বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রাথমিক রিপের্ট তৈরি করা হয়। এসময় মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে হয় দেশের একমাত্র পরীক্ষাগার মহাখালীতে।
এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করতে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
জানা গেছে, ভিসেরা সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও তা আধুনিক ও দীর্ঘস্থায়ীমেয়াদী সময়র বিবেচনায় উপযোগী নয়। আর স্থানীয় পর্যায়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। ফলে রাসয়নিক পরীক্ষাগার মহাখালীর বিশেষজ্ঞদের হাতেই থাকে সব ক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞ নিয়োগে দলীয় প্রভাব
সারাদেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ফরেনসিক মেডিসিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের অনেকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। আর মহাখালী পরীক্ষাগারে পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কিত ঘটনা তো ‘ওপেন সিক্রেট’।
এর কারণ জবাবদিহিতা না থাকা এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দায়িত্ব পাওয়া। বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে দলীয় প্রভাব যেন নির্ধারিত বিষয়। আর এ কারণেই অসাধু বিশেষজ্ঞদের জবাবদিহিতা নেই বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
রাসায়নিক পরীক্ষা প্রক্রিয়া
ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ায় ভিকটিমের হৃদপিন্ড, পাকস্থলি, লিভারসহ শরীরের প্রয়োজনীয় অংশ সংগ্রহ করা হয় স্থানীয় পর্যায়ে। স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ করার পর কিছু অংশ পাঠিয়ে দেয়া হয় ভিসেরা রিপোর্টের জন্য মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষাগারে। রাসায়নিক পরীক্ষার পর রিপোর্ট পাঠানো হয় স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে। এরপর চূড়ান্ত মতামত দেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা
দেশের একমাত্র পরীক্ষাগার মহাখালী ছাড়া স্থানীয়ভাবে মেডিক্যাল কলেজগুলোর ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে বিকল্পভাবে আলামত সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়ভাবে মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে অথবা জেলা সদর হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসককে দিয়ে সংগ্রহ করা হয় আলামত। এরপর পাঠিয়ে দেয়া হয় মহাখালীতে। সেখানেও সংরক্ষণ ব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই
মহাখালী পরীক্ষাগারের বিশেষজ্ঞরা ইচ্ছামতো রিপোর্ট করলেও অনায়াসেই পার পেয়ে যান। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। আর মহাখালী পরীক্ষাগারে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সেখানকার চিকিৎকদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। এ অবস্থায় মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষাগারের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকে না।
প্রভাবিত হয়ে রিপোর্ট দিলে কেউ ন্যায়বিচার-বঞ্চিত হবেন; নয়তো মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হবেন অনেক নিরীহ ব্যক্তি- এটাই বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণে উন্নত ব্যবস্থা না থাকায় সব ক্ষমতা থাকে মহাখালী পরীক্ষাগারের বিশেষজ্ঞদের হাতে। রিপোর্ট প্রভাবিত হলেও কিছু করার নেই স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অসহায়। তাছাড়া বিচারপ্রার্থীরাও তাদের মতই অসহায় থাকেন।
রাসায়নিক পরীক্ষায় ব্যত্যয়
রাসায়নিক পরীক্ষায় ১০টি কারণে সঠিক রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটতে পারে। রাজশাহী ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান ও বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. এমদাদুর রহমান বলেন, “১০টি কারণে রাসয়নিক পরীক্ষার ফলাফল সঠিক নাও হতে পারে। ”
তিনি জানান, ফল্টি টেকনিকে প্রিজার্ভ করা হলে প্রকৃত রিপোর্ট পাওয়া যাবে না। তা ছাড়ার সব ধরণের আলামতে লবণের পরিমাণ একই হবে না। সবক্ষেত্রে একই পরিমাণ লবণ দিয়ে প্রিজার্ভ করা হলে প্রকৃত রিপোর্ট পাওয়াতে অনিশ্চয়তা থাকবে।
তিনি আরো জানান, পোস্ট প্রিজারভেটিভ একেকটার জন্য একেক রকম হতে হবে। উন্নত সংরক্ষণ ছাড়াই থানায় বা পরীক্ষাগারে আলামত দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে আলামত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
ডা. এমদাদুর রহমান আরও জানান, এরকম ১০টি বিষয় যত্নের সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে আলামত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও স্বীকারোক্তি
দেশের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ অধুনিক বিশ্বে চলমান প্রযুক্তি ব্যবস্থার ধারে কাছেও যেতে পারেনি তা স্বীকারও করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তবে এক্ষেত্রে খানিকটা ব্যতিক্রম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের অবস্থা। এখানে উন্নত প্রযুক্তির কিছু ব্যবহার রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় উপকরণের অপ্রতুলতা এখনও রয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “দেশের অন্য হাসপাতালগুলোর তুলনায় এখানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। রয়েছে ইলেকটিক ‘শ’(করাত)। ব্যবহারও করা হয়। ”
এসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ পরিদর্শনেরও আহবান জানান তিনি।
তবে মর্গে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া প্রায় ক্ষেত্রেই চালানো হয় হাতুড়ি-বাটাল। তা ছাড়া আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিশেষ প্রশিক্ষণ পাওয়া কেউ নেই সেখানে।
রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. এমদাদুর রহমান বাংলানিউজকে ফোনে বলেন, “মাথার খুলি কাটতে বৈদ্যুতিক করাত ব্যবহার করা যায়নি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব ও করাত উপযুক্ত না হওয়ায় শুরুতে এটি ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে হাতুড়ি আর বাটাল বা ছেনি দিয়েই মরদেহের মাথার খুলি কাটা হয়। দেশের প্রায় সবখানেই চলছে এমন ব্যবস্থা। কোনো কোনো স্থানে করাত থাকলেও তা ব্যবহার করার কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন লোক নেই। ”
আরো পরীক্ষাগার ও ফরেনসিক ইউনিট
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অপর সাবেক বিভাগীয় প্রধান বর্তমানে বগুড়া টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. মনসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “পরীক্ষার রিপোর্ট দেরিতে পাওয়ায় মামলার তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে চট্টগ্রামে পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে পরীক্ষাগার নির্মাণ করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে। ”
তিনি আরো বলেন, “ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ উন্নত করা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষাগার, জেলা সদরে ফরেনসিক ইউনিট স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। ”
বিশেষজ্ঞ স্বল্পতার প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে চুক্তিতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে হলেও ফরেনসিক বিভাগ অত্যাধুনিক উপকরণ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী-সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। ন্যায়বিচার প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। সে কারণেই এটা করা উচিত। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ০৯ আগস্ট, ২০১২
এসএমএ/সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]