কুড়িগ্রাম: বিএসএফের গুলিত নিহত ফেলানীর মা ও পাঁচ ভাইবোনকে ফেরত দিয়েছে ভারত।
সোমবার বিকেল পাঁচটায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর নাগরাজ সীমান্তে ৯৪৮এর ৫ সাব পিলারের কাছ দিয়ে তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত তিনদিন ধরে ফেলানীর মা জাহানারা বেগমসহ ৫ ভাইবোনকে ফেরত আনতে ওই সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ’র দফায় দফায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সোমবার চরম গোপনীয়তায় ফেলানীর বাবা নূরু ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই বৈঠক চলে। সেখানে ফেলানীর মা জাহানারা বেগম, বোন মালেকা, কাজলী, ভাই জান উদ্দিন, আক্কাছ আলী ও আরফান আলীকে ফেরত দেয় বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের ২৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক তরফদার। অপরদিকে ভারতের পে ছিলেন ১৮১ বিএসএফ-এর অধিনে চৌধুরী হাট কোম্পানি কমান্ডার রামব্রিজ রায়।
এ সময় পশ্চিম রামখানা সীমান্তে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ তাদের একনজর দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপো করলে। প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিজিবি’র কঠোর নিরাপত্তার কারণে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ তারেদ কাছে যেতে পারেনি।
এব্যাপারে কথা বলার ২৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক তরফদারের মোবাইলে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়ণি।
তবে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফেলানীর পরিবার তার বাড়িতে যথা সময়ে পৌঁছে যাবে। ’
ফেলানীর মা ও ভাইবোনেরা গত ১৫ দিন থেকে ভারতের আসাম রাজ্যের নওগান জেলার লংকা থানার পোয়াতের পাড় গ্রামে তার ভাগনে মিনহাজুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারি ভোরে ভারত থেকে কাঁটাতারের বেড়া টপকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসার সময় ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১