রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। 'নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনে নাগরিক প্রত্যাশা' শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি ও দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি তিনি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে সে নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে না। ২০১৪ সালের মতো এ নির্বাচন প্রহসন হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ ভোট দিতে চায়, এটা বড় কোনো দাবি নয়, এটা তাদের অধিকার। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি এ দেশের জনগণের দাবি। এ দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের একটি দায়িত্ব আছে। তাই আমাদের নেত্রী লন্ডন থেকে ফিরে এসে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের একটি রুপরেখা দেবেন এবং আমাদের বিশ্বাস সেই প্রস্তাব সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে। জনগণের প্রতি যদি আপনাদের আস্থা থাকে তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। '
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সমালচনা করে সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন একটা জব শুরু করেছে, নির্বাচন সামনে আসার পরেই বলছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এ সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিলো। আপনারা (আ’লীগ) সেটা বাতিল করেছেন। কেন বাতিল করলেন? কারণ ইচ্ছে মতো নির্বাচন করতে পারেন, নির্বাচনের আগের রাতে ভোট দিয়ে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেন। সে কারণে নির্বাচন নিয়ে এতো জল্পনা-কল্পনা। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে কোনো জল্পনা-কল্পনা থাকতো না। বাদ দিলেন কেন? বাদ দিয়েছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে। তার প্রমাণ করেছেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের নামে প্রহসন করে।
বর্তমান মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এ সরকার সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচিত নয়। নির্বাচিত না হয়েই পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান। বুকে হাত দিয়ে বলুন আপনারা মন্ত্রী হিসেবে গর্ববোধ করেন কিনা?
একই সভায় উপস্থিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ৫ জানুয়ারিতে যে নির্বাচন করেছেন তাতে বাংলাদেশের মান সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন। এতবড় অপকর্ম পৃথিবীর কেউ করে নাই। এ অপকর্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে ক্ষমা চান।
এরপর আমরা আপনাকে মেনে নেওয়ার জন্য একটা দিক বের করি। আমাদের নেত্রীর কাছে গিয়ে বলি আপনি ক্ষমা চেয়েছেন, আগে খারাপ ছিলেন এখন ভালো হয়ে গেছেন। আপনি অপকর্ম করবেন, আবার সেটা জাস্টিফাই করার জন্য সংবিধানের দোহাই দেবেন সেটি হবে না। '
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমএসি/এএটি/