শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মামুন হাসানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি, তারেক রহমানের সাজা বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু।
এতে মওদুদ বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে চেষ্টা করছে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে না আসে। তারা এককভাবে ২০১৪ সালে যেভাবে নির্বাচন করেছিল সেরকম একটি নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। এ জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে নিচ্ছে তারা। আমরা বলছি, এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। বাংলাদেশের মানুষ আর একদলীয় নির্বাচন হতে দেবে না।
কোনো স্বৈরাচারী সরকার গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা চায় যেমন করে হোক ক্ষমতায় থাকতে। কারণ তারা যে অন্যায়-অত্যাচার এবং নির্যাতন করেছে, তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন হবে, একটা দল ক্ষমতায় থাকবে, একটা দল বিরোধী দলে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা তারা বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ তারা মনে করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, তারা ক্ষমতাচ্যুত হবে এবং তাদের শাস্তি অপরিহার্য। তারা যে সম্পদ গড়ে তুলেছে, সেই সম্পদের হিসাব দেশের মানুষ একদিন চাইবে।
ঐক্য ছাড়া স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ করা সম্ভব না বলেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। এই ঐক্যের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের ষড়যন্ত্র ধ্বংস হবে।
বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, আমাদের দাবি না মেনে যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে, তাহলে দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে এবং সেই ঝড়ের মাধ্যমে আমরা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হবো।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, এই আইনের ৩২ ধারা মতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে তার ১৪ বছর সাজা আর ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। যারা ধর্ষণ করে তাদের জন্যও এতো বড় সাজা নেই। ৪৭ ধারায় পুলিশকে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো রকমের মামলা ছাড়া, যে কাউকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। যে কারও অফিসে প্রবেশ করতে পারবে। শুধু এই আইনই নয়, তারা যে সম্প্রচার আইন করতে যাচ্ছে, এই আইন করলে সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা থাকবে না।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, ইয়াসিন আলী, মহানগর বিএনপি নেতা মীর হোসেন মীরু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এমএইচ/টিএ