তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সমস্যার সমাধান না করে বা এর দায় না নিয়ে তৃতীয় শক্তির কথা বলা রহস্যজনক।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের নির্বাচনী প্রচারণায় একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না নারীরাও। কক্সবাজার ও ঢাকায় নারী প্রার্থীরর ওপর হামলা করেছে তারা। একইসঙ্গে পুলিশ সদর দফতরের ২ জন ডিআইজির নেতৃত্বে সারা দেশের পুলিশ সুপারদের মাধ্যমে চলছে গায়েবি মামলা রুজু, হামলা ও গ্রেফতার।
তিনি বলেন, পুলিশ-র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা না পেলে আত্মরক্ষার্থে নিজেদের প্রতিরোধ গড়তে হবে। এটা দণ্ডবিধি আইনে আছে। আমাদের ওপর হামলা হবে আর আমরা বসে থাকব, এটা হতে পারে না।
অভিযোগ করে বিএনপি নেতা আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয়রা যখন আমাদের ওপর হামলায় ব্যস্ত তখন এর দায় ইসি না নিয়ে তৃতীয় শক্তির কথা বলছেন, যা রহস্যজনক। তাদের বর্তমান কথাবার্তা সন্দেহজনক।
তিনি বলেন, ইসি যদি সহিংসতা না চান তাহলে সেনা বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হোক। দেশের পুলিশ-ইসি এখন সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। আমরা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে লিখিত ও মৌখিক অবহিত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
ইএআর/এমজেএফ