শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নুসরাতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মওদুদ এ কথা বলেন। বিকেলে তার নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি দল নুসরাতের সোনাগাজী পৌরশহরের উত্তর চর চান্দিয়া এলাকার মেজো মৌলভী বাড়িতে যায়।
মওদুদ বলেন, সরকার পুলিশকে বিরোধীদল দমন-পীড়নে ব্যস্ত রেখেছে। সে কারণে তারা দেশের মানুষের জন্যও ভালো কিছু করছে না। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারছে না। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে, দেশে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়া উচিত। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সমগ্র নারী জাতির অবমাননা হবে।
মওদুদ আরও বলেন, (কারাবন্দি বিএনপি প্রধান) খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি নুসরাতের খবরটি শুনেছেন এবং এ ব্যাপারে মর্মাহতও হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে তিনি আমাদের কাছে খবর পাঠিয়েছেন, কিন্তু প্রশাসন আমাদের খবর দেয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানও এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, নির্বাহী সদস্য আবদুল লতিফ জনি, নিপুন রায়, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার প্রমুখ।
নুসরাতের বাবা-মা ও স্বজনদের সমবেদনা জানানোর পর এ ছাত্রীর কবর জিয়ারত করেন বিএনপি নেতারা। শেষে কবরে বিএনপির পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএ/
** অধ্যক্ষ সিরাজের নির্দেশে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা শামীমের