শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর করা ‘দেশ বিরোধী’ চুক্তি বাতিল, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে এ জনসমাবেশ আয়োজিত হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় রাডার বসিয়ে নজরদারি করবে ভারত! তাতে আর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব থাকলো? আবার রাডার বসানোর কারণে অহেতুক অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের বৈরিতার সৃষ্টি হতে পারে। মংলা বন্দর কার স্বার্থে? কীসের বিনিময়ে ভারতকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন? সেটা জানতে চাইতেই পারে বাংলাদেশের জনগণ।
প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, জাতীয় সংসদে আলোচনা ছাড়াই আপনি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের পানি, উপকূল, বন্দর ও গ্যাস দিতে পারেন না। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি আরও বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড গত ১১ বছর ধরে ছাত্রলীগের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ। হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বানিয়েছে। যার কারণে মেধাবী ছাত্ররা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে।
জনসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন- জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, আমীর এজাজ খান, দেলোয়ার হোসেন খোকন, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, মীর কায়সেদ আলী, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, আরিফুজ্জামান অপু, কামরুজ্জামান টুকু, মোল্যা মোশাররফ হোসেন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, মাহবুব হাসান পিয়ারু, মুজিবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল ও শফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এমআরএম/এইচএডি