রোববার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম রিমান্ড আবেদন নাকচ করে ১০ হাজার টাকা বেইল বন্ডে পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে দুপুরে হাফিজের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম।
অপরদিকে, হাফিজের পক্ষের অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড নামঞ্জুর এবং জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এরও আগে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে বিএনপি নেতা হাফিজকে এই মামলায় রাজধানীর পল্লবী থানায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার দুপুরে খালেদার জিয়ার নিরাপত্তা টিম সিএসএফ (চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স) এর কর্মকর্তা ইসহাক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানায় সোপর্দ করে র্যাব-৪।
পরে র্যাবের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাতে মেজর হাফিজকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দায়ের করা হয় বলেও জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা হাফিজ ও ইসহাক পরস্পরের যোগসাজশে সরকার ও সরকারি সংস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন বলে অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তারা ই-মেইলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক কথাবার্তা আদান-প্রদান করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাফিজ উদ্দিনকে আটক করা হয় বলে পরিবারের বরাত দিয়ে দাবি করেছে বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
কেআই/টিএ