বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ‘ভাই অমুক স্টলটা কোথায়?’ শুক্রবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৭ম দিন পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অবস্থিত মিডিয়া সেন্টারে অবস্থানকারী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে এটি এখন সবচেয়ে ‘কমন’ প্রশ্ন।
পাঠকরা মেলার মিডিয়া সেন্টারকে ‘তথ্যকেন্দ্রের’ উপরোক্ত প্রশ্নটি সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসা করছেন।
এবার বইমেলার সম্প্রসারণ হওয়ায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের ভেতরে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলা একাডেমির প্রবেশ পথে বা একাডেমির বাইরে পাঠক-দর্শনার্থীদের জন্য এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।
এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্টলগুলোতে বৃহস্পতিবার স্টল নম্বর দেওয়া হলেও বাংলা একাডেমির ভেতরে অবস্থিত স্টলগুলোতে ৭ম দিনেও এ নম্বর দেওয়া হয়নি। তাই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে পাঠক-দর্শনার্থীরা কোন পথ দিয়ে বের হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে যাবে তারও কোনো নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।
এদিকে, বাংলা একডেমি প্রাঙ্গণে অবস্থিত তথ্যকেন্দ্রের সামনে ‘তথ্যকেন্দ্র’ লেখা না থাকায় অনেকেই মিডিয়া সেন্টারকে তথ্য কেন্দ্র ভাবছেন।
এছাড়া অনেক পাঠক-দর্শনার্থী মেলা সম্প্রসারণের তথ্য জানেন না বা জানলেও কোন স্টল কোথায় এ তথ্য পাচ্ছেন না। এতে করে পাঠক-দর্শনার্থীরা মেলায় এসে বিভ্রান্ত হতে হচ্ছে।
ফলে মেলার মিডিয়া সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন ‘ভাই অমুক স্টলটি কোথায়?’ ‘ভাই মেলার আরেক অংশ কোথায়?’ ইত্যাদি প্রশ্ন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের সাধ্যমতো এসব পাঠক-দর্শীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে অথবা তথ্যকেন্দ্র দেখিয়ে দিচ্ছেন।
শুক্রবার মারুফ হোসেন নামে এক দর্শনার্থী মিডিয়া সেন্টারে এসে জানতে চান, ‘ভাই এবার কি মেলায় স্টল নম্বর উল্টা-পাল্টা করে সাজানো হয়েছে? ৪৩২ নম্বর স্টলটা খুঁজে পাচ্ছি না।
পরে তাকে ওই স্টলটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রয়েছে বলে জানানো হলে তিনি সেদিকেই রওয়ানা হন।
রাজধানীর ডেলটা মেডিকেল কলেজের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তুলি এসেও একই প্রশ্ন করেন।
মেলা সম্প্রসারণের তথ্য তাকে জানানোর পর তিনি বলেন, ‘এবার যে মেলা সম্প্রসারণ হয়েছে সে তথ্য আমি জানতাম না। বাংলা একাডেমির উচিত ছিল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য সবাইকে জানিয়ে দেওয়া। ’
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুর্শিদ আনোয়ার বাংলানিউজকে জানান, মেলা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত মাত্র পাঁচ দিন আগে নেওয়া হয়। আর মেলার প্রথম সপ্তাহ আমাদের শুধু গুছিয়ে নিতেই সময় লেগেছে। তবুও পাঠকদের কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে তথ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।
তিনি আরো জানান, এবারের মেলায় যেসব সমস্যা রয়েছে আশা করি, আগামী বছর আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৪