ঢাকা: ‘অফিসে বসে গভীর মনোযোগে কাজ করছিলাম। বিটিসিএল (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) নম্বরে হঠাৎ ফোন।
‘প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। পরে অনুসন্ধান করে দেখলাম। সেটা সত্যিই ছিলো মিরপুরের দুর্ধর্ষ আর ভয়ঙ্কর শাহাদাৎ বাহিনীরই শীর্ষ এক সন্ত্রাসীর ফোন’।
‘সরকারের চেয়ে কি সন্ত্রাসীর হাত বড়? কখনোই নয়। আমি তো সরকারি স্বার্থেই কাজ করছি। সেখানে ফাঁকি দেওয়া, সরকারি রাজস্ব আদায়ের প্রশ্নে আমাকে নীরব থাকতে বলা হলো। তাই কি হয়? সেই হুমকি পরোয়া না করেই সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা ঠুকে দিলাম’।
প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন আর নিজের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকলে আবার কিসে ভয়ভীতি! সততার চেয়ে শক্তি আর কার বেশি?’
কথাগুলো বলছিলেন মতিউর রহমান। কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (পশ্চিম) এর কমিশনার।
নিজের মেধা, সততা, দক্ষতা আর সেবায় আজ অন্যান্য কমিশনারদের তুলনায় তিনি অনন্য। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন আর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের রোলমডেল। চেষ্টা করলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সরকারি রাজস্ব আহরণ যে বহুগুণে বাড়ানো যায় তার প্রমাণ তিনি।
রাজস্ব প্রশাসনে আজ তাই উদাহরণ হিসেবেই অনেকেই উচ্চারণ করেন তার নাম।
জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধি যেখানে মাত্র ১১ শতাংশ, সেখানে নিজের কমিশনারেটেই তিনি সেই প্রবৃদ্ধিকে তুলে এনেছেন ৫৫ শতাংশে।
যে কারণে সরকারি রাজস্ব আদায়ে নতুন এক নজীর সৃষ্টি করে আলোচনায় এখন এই কর্মকর্তা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে অনার্স-মাস্টার্স আর এমবিএ করা মতিউর রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় পল্লী কর্ম সংস্থান ফাউন্ডেশনে(পিকেএসএফ)। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত কাজ করেন সেখানে। সর্বশেষ উপ-ব্যবস্থাপক পদ থেকেই ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল যোগ দেন কাস্টমস বিভাগে।
পদোন্নতি পেয়েই গত বছরের ৯ এপ্রিল কমিশনার হিসেবে এই কমিশনারেটে যোগ দেন ১১তম বিসিএসে সম্মিলিত মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা বরিশালের ছেলে মতিউর রহমান।
বাবা আলহাজ আব্দুল হাকিম হাওলাদার। বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া মতিউর রহমান দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।
ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক মতিউর রহমান। স্ত্রী লায়লা কানিজ তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। মেয়ে ফারহানা রহমান বিবিএ শেষ করে এখন স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অপেক্ষায় আর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্থনীতিতে অর্নাস পড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
সদর দফতর, ৭টি বিভাগ আর ২২টি রাজস্ব সার্কেলের সমন্বয়ে ঢাকা পশ্চিম কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে আগে যেখানে গড়ে মাসিক রাজস্ব আদায় ছিলো ৪৮ কোটি টাকা থেকে ৫২ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই তা ছাড়িয়েছে একশ’ কোটি টাকায়।
২শ’ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি চিহ্নিত করে মামলা করা হয়েছে ৬৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ৭১টি প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ফাঁকি দেওয়া ১৭ কোটি টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের ৭৭ শতাংশই আসে বৃহৎ করদাতা ইউনিট থেকে। যার আদায়ের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ শতাংশ। মতিউর রহমানের যোগদানের আগে এই কমিশনারেটেই গড়ে যেখানে বার্ষিক আদায় ছিলো ৭শ’ ৫০ থেকে ৭শ’ ৯০ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবছরেই লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
গত ১০ মাসে অর্থাৎ এপ্রিল’১৬ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে সবাই বলে থাকেন উচ্চাভিলাসী। সেই তুলনায় ছোট্ট এই দেশে যেখানে এতো তদবির, এতো প্রভাব, বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব। সেখানে কি করে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আদায় সম্ভব?
এ প্রশ্নের জবাবে সদালাপী এই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এর একমাত্র উত্তর স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা। সেটা না থাকলে এতোদিন হয়তো উড়েই যেতাম। কারণ, আমার দফতরে কোনো ধরনের তদবিরই চলবে না। সেটা কর্মকর্তাদের বদলি থেকে শুরু করে রাজস্ব ফাঁকিবাজদের রক্ষায়- সব তদবির এখানে অচল’।
‘অফিসের কাঠামো এভাবে গড়েছি যে, কোনো তদবিরেই এখানে কাজ বাগানো সম্ভব না। রাজস্ব বোর্ডও বিষয়টি জানে যে, আমি কোনো তদবির গ্রহণ করি না। কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন ও বদলি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হয় তার পেশাগত দক্ষতা আর যোগ্যতার ওপর। যিনি ভালো কাজ করবেন, তিনি ভালো পোস্টিং পাবেন- এই নীতিতে’।
মতিউর রহমান বলেন, ‘প্রথম প্রথম অনেকেই উঁচু জায়গাগুলো থেকে তদবির করাতেন। তারপর শুরু হলো হুমকি-ধামকি। পরে বুঝে গেছেন, আমি এসব পরোয়া করি না। ক্ষমতাধর অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছি। অধিক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে সভা করেছি। তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বলেছি, আমরা দেখাতে চাই’।
‘সবাই কাজ করছেন রাজস্ব আদায়ে। এর বিপরীতে কোনো অনিয়ম পেলে তা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আমারই দফতরের একজন কর্মকর্তা নিয়ম ভেঙে বিশেষ মহল থেকে বদলির ব্যাপারে তদবির করিয়েছিলেন। প্রথমে বিষয়টি তার নজরে এনে এ ধরনের তদবির না করাতে তাকে বার্তা দেওয়া হয়েছিলো। তারপরও তদবির করায় তাকে ক্লোজড করে রাখা হয়েছে সদর দফতরে। আমার কথা হচ্ছে- তদবির করিয়েছো, হেড কোয়ার্টারে আসো, বসে থাকো। এটা একটা পানিশমেন্ট’।
কোনো তদবিরই চলে না। তাও আবার বাংলাদেশে! এটা কি করে সম্ভব? এই শক্তির উৎসটাই বা কি?
জবাবে মতিউর রহমান বলেন, ‘যদি শক্তির উৎস বিবেচনা করেন, তাহলে বলবো, সেটা অবশ্যই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। কারণ, তিনি মনিটরিং করেন- কমিশনাররা কে কিভাবে কাজ করছেন। যখন তিনি দেখেন, কমিশনাররা রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তখন তিনিই হয়ে ওঠেন আমাদের প্রেরণা আর আশ্রয়স্থল’।
‘আমি অফিসে গুণগত পরিবর্তন এনেছি। এমন একটি ভাবমূর্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি- যেখানে ভালো ও সন্মানিত করদাতারা কখনোই হয়রানির শিকার হবেন না। গড়ে তুলেছি করবান্ধব পরিবেশ। আর একটি বিষয় প্রতিষ্ঠিত করেছি। যিনি যতো বড় ক্ষমতাশালীই হোন না কেন, রাজস্ব ফাঁকি ধরা পড়লে তিনি কোনোভাবেই আমার হাত থেকে রক্ষা পাবেন না। এ বার্তা এখন পৌঁছে গেছে বড় বড় করদাতাদের কাছে’।
তিনি বলেন, ‘কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে- এমন করদাতাদের আমার দফতরে ডেকে এনে তাদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। বলেছি, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা এড়িয়ে সরকারি পাওনা রাজস্ব পরিশোধে এগিয়ে আসতে’।
‘তবে সেখানে তাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে না। এটা ভেবেই তারা মামলার দিকেই বেশি আগ্রহী। কারণ, সেখানে রয়েছে একটি প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা। আসলে আইনের প্রক্রিয়াটাও বেশ লম্বা। ধরেন, মামলা করবেন। প্রথমে তা প্রস্তুত করতে হবে। ভ্যাট আইনের ধারা ৫৫(১) এ নোটিশ করলাম। এবার ওই নোটিশের জবাবে প্রাপ্তির পালা। তিনি জবাব দেওয়ার জন্যে সময় চাইবেন, ধানাই-পানাই করবেন, অযথাই সময়ক্ষেপণ করবেন’।
‘এবার ৫৫(৩) ধারায় মামলা চূড়ান্ত করায় আবার সময় দিতে হয় ৯০ দিন। তিনি আপিল করবেন, কি করবেন না। সেই সময় দিতে। এরপর তিনি আপিল করলে সেই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু আমরা বঞ্চিত থাকছি পাওনা রাজস্ব আদায় থেকে’।
‘এই লম্বা প্রক্রিয়াকে এখনই থামানো দরকার’- বলেন সফল এই রাজস্ব কর্মকর্তা।
‘মালয়েশিয়ায় যেটা আছে। আপিল করার আগে সেটা আপিলযোগ্য কি-না, তা নির্ধারণ করে দেয় একটি কমিটি। এ ব্যাপারেও বাংলাদেশের আইনে সংস্কার আনা প্রয়োজন। যেমন, রাজস্ব আদায়ে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের নিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান মতবিনিময় সভা করেছেন। এখন কিন্তু উচ্চ আদালতে যেকোনো মামলা নিয়ে গেলেই আর তা গৃহীত হয় না’।
‘এবার বলি আমাদের মামলার কথা। আমরা এমনভাবে মামলাগুলো করেছি যে, উচ্চ আদালতে গিয়েও কেউ আমাদের করা মামলায় স্থগিতাদেশ পর্যন্ত আনতে পারেননি। সবাই জানেন, মামলাজটে আটকে আছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। আগে কথায় কথায় তারা উচ্চ আদালত যেতেন। সেখান থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে আসতেন। আমার মামলাগুলোতে সেই সুযোগ তারা পাননি। কারণ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের ৫ জন কর্মকর্তাকে এনে আমার দফতরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করেছি। এবং ইস্যুভিত্তিক ধারাবাহিক ইন হাউজ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। কারণ, তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে না পারলে তো সেরকম ফল সরকার পাবে না’।
মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘প্রতিমাসেই রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করি। রাজস্ব আদায়ে তাদের সমস্যা-সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয় সেসব বৈঠকে। যে কারণে রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা বেড়েছে বহুগুণে’।
‘আগে মামলার নথি বা ফাইল গুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হতো না বা সেই ধরনের ব্যবস্থাপনাও উন্নত ছিলো না। আমি এসে সব নথিপত্র ডিজিটালাইজড করলাম। এখন এক ক্লিকেই বের হয়ে আসে ফাইলের গতি বা পরিণতি। কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রচলন করলাম জব ডায়েরির। যেটা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রশংসিত হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে তা প্রচলনের চিন্তা-ভাবনা চলছে’।
‘দফতরে দফতরে চালু করলাম বকেয়া রেজিস্টার, অনিয়ম মামলা রেজিস্টার, করফাঁকি রেজিস্টার এবং আটক মামলার রেজিস্টার। যেখানে আগে ছিলো না কোনো সিটিজেন চার্টার। সেটা চালু করার পাশাপাশি এখন চলছে দ্বিতীয় প্রজন্মের সিটিজেন চার্টার তৈরির কাজ। সংকলনের ব্যবস্থা করা হলো প্রশাসনিক আদেশের। প্রস্তুত করা হলো নিজস্ব ওয়েবসাইটের। পাশাপাশি খোলা হলো দফতরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ। চালু করা হলো ডিজিটাল আর্কাইভ। এনবিআরের আইটি বিভাগ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে কর্মকর্তাদের ইসিআর সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো’।
‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ অনলাইনভিত্তিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে চালু হতে যাওয়া সেই কার্যালয়ে থাকবে স্মার্ট হেল্পডেক্সসহ পূর্ণাঙ্গ কর্পোরেট সজ্জা’।
‘যে কার্যালয় হবে করসেবা প্রদানের একটি মডেল’।
আগামী ২ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরে সাজানো এ বাজেট মোকাবেলায় বরাবরের মতোই অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের চাপ সামলাতে যেমন থাকবে কৌশল উদ্ভাবন। তেমনি থাকবে বাড়তি গুরুত্ব আর নজরদারি।
যদিও অর্থনীতিবিদ আর উন্নয়ন গবেষকরা বলছেন, সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়ানোটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর যা বরাবরই হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। যে কারণে প্রতি বছর লক্ষ্যমাত্রা সংশোধনই এখন পরিণত হয়েছে নিয়মে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। দশ মাসের হিসাবে (জুলাই-এপ্রিল) রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হলেও সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে এনবিআর। সে কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা নামিয়ে আনা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকায়।
অর্থনৈতিক সূচক বলছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮ শতাংশের কম। স্বাভাবিকভাবেই যা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কণ্ঠেও রয়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।
সেই তুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১২টির মধ্যে কেবলমাত্র একটি কমিশনারেটের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। উল্টো ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার। একটু চেষ্টা আর সততা থাকলেই যে দেশ নিজের পায়েই দাঁড়াতে পারে সেই উদাহরণই এখন টানছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
জেডআর/এএসআর