নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিরল প্রজাতির শকুন ধরা পড়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা শহরের কেশবা এলাকার রশিদা বেগমের বাড়িতে হঠাৎ উড়ন্ত অবস্থায় পড়ে যায় শকুনটি।
এ সময় রশিদা বেগম শকুনটি ঝাপটে ধরে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। পরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম পাখিটিকে চিহ্নিত করে প্রশাসনের সহায়তায় রংপুর চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করেন।
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, বিরল প্রজাতির এ শকুন বিলুপ্তির পথে। দেশ স্বাধীনের আগে শকুনের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলেও এখন আর তেমনটা চোখে পড়ে না। আবহাওয়ার পরিবর্তন, খাদ্যের অপ্রতুলতা ও বসবাসের স্থানের অভাবে এ প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে।
এ পাখির দৃষ্টি শক্তি তীক্ষ্ণ ও প্রখর। তারা ৩৭ হাজার ফিট ওপরে উড়তে পারে। তারা চার থেকে ছয়টি ডিম দেয়। তাদের পাঁচ বছর বয়সে প্রজনন হয়। পাখিটি মুক্ত অবস্থায় ২০ বছর আর খাঁচার ভেতর ৩০ বছর বাঁচে।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাখিটি সংরক্ষণের জন্য রংপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪