আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে বিধায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। এটা আরেকটু বেড়ে দু'এক দিনের মধ্যেই কমে যাবে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে খুলনা অঞ্চলে। এছাড়াও দেশের বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে বিরাজ করছে। আর বাতাসের জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি ওঠে ৯২ শতাংশে। এই অবস্থায় দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রাও বাড়বে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের উপর সক্রিয়। এছাড়া দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে উপর মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল নাগাদ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এই সময় উত্তরাঞ্চলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র দিনে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যদিকে রাজশাহী, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝরো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস এর আগে জানিয়েছে, শনিবার নাগাদ দেশে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাড়বে ভারী বর্ষণের প্রবণতাও। ভারতে বৃষ্টিপাত বেশি হলে পাহাড়ি ঢলে দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হতে পারে বিপদসীমার উপর দিয়ে। এক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদীয় বন্যার আভাস রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
ইইউডি/জেআইএম