এরই মধ্যে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে পানি বাড়লে শহরের নিম্ন এলাকা দ্রুত প্লাবিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরে ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত বাড়ার পর যদি পানি বেড়ে যায় তাহলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শহরের নিচু এলাকা ফের প্লাবিত হবে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বাপাউবো ঢাকার তথ্যমতে, উজানে ভারতের আসাম, মেঘালয় অঞ্চলে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ৯ জুলাই থেকে অপার মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদীগুলো পানি সমতল বাড়তে পারে।
পানি বাড়ার এ প্রবণতা ৪ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হলে এবং সুরমা-কশিয়ারাসহ মেঘনা অববাহিকার অন্যান্য নদ-নদী পানি (যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস) পানি সমতল কোথাও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে শহরের নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
ওএইচ/