ঢাকা: রোদ-বৃষ্টির খেলার মাঝে বেড়েছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। ওঠা-নামা করছে ৯০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে যে বাতাস বইছে, সেটা আসছে বঙ্গোপসাগর থেকে। সঙ্গে করে নিয়ে আসছে জলীয় বাষ্প। তার ওপর দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতেও বাতাসে জলীয় বাষ্প যোগ হচ্ছে। ফলে শরীরের তাপ শোষণ করতে পারছে না বাতাস। আর যে কারণে শরীর স্যাঁতস্যাঁতে থাকছে। আর এতে অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ১৬ আগস্টের পর থেকে বৃষ্টিপাত বাড়বে। তখন তাপমাত্রা আরো কিছুটা কমবে। ফলে সে সময় ভ্যাপসা গরম কমতে পারে। তবে রোদ উঠলে সেটা আবার ফিরে আসবে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও
মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ। আর দুপুর পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দ্বীপে। সেখানে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। মাঝারি ধরনের বর্ষণ হয়েছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলে। অন্যান্য স্থানে হচ্ছে হালকা বৃষ্টিপাত।
দেশের বেশির ভাগ স্থানে বৃষ্টির পর রোদের দেখাও মিলেছে। জলীয় বাষ্প বাড়ার এটাও একটা কারণ। এছাড়া কোনো কোনো স্থানের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াও বয়ে যাচ্ছে অস্থায়ীভাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২১
ইইউডি/এসআইএস