ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

কুড়িগ্রামে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
কুড়িগ্রামে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পানিতে ডুবে গেছে ধানক্ষেত। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় ধরলা অববাহিকায় প্রায় সহস্রধিক বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে এবং তলিয়ে গেছে ৩ হাজার ২শ হেক্টর রোপা আমনক্ষেত। চরাঞ্চলগুলোর নিচু এলাকার বিভিন্ন ফসল ও গ্রামীণ কাচা রাস্তাগুলো পনিতে তলিয়ে রয়েছে।

ফলে চরাঞ্চলসহ নদী অববাহিকার মানুষজন যাতায়াতে পড়েছে চরম বিপাকে। নদ-নদীগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি কমেছে ১৫ সেন্টিমিটার।

অপরদিকে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র।

কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, গত দুইদিনে ধরলার পানি বাড়ায় আমার ইউনিয়নের প্রায় ৬ শতাধিক বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। এছাড়াও নিচু জমির রোপা আমনক্ষেত তলিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার বাংলানিউজকে জানান, নদ-নদীর পানি বাড়ার ফলে তার ইউনিয়নের দ্বীপ চরগুলোর ঘর-বাড়িগুলোর চারিদিকে পানি চলে এসেছে। এসব এলাকার পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়ায় তারা নৌকা ছাড়া যাতায়াত করতে পারছেন না। তবে, কোনো বাড়ি-ঘরের ভেতরে এখনও পানি প্রবেশ করেনি। তবে, বেশির ভাগ ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর জামাল বাংলানিউজকে জানান, ধরলা অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলে শেষ মুহূর্তে যারা রোপা আমন লাগিয়েছে, সেগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, চলতি বছরে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ বেশ কিছু নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ৩ হাজার ২শ হেক্টর রোপা-আমন ধান নিমজ্জিত হয়েছে। তবে ২-৩ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।