ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

বালিপাড়া ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭ বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
বালিপাড়া ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭ বাংলাদেশি

ঢাকা: হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে ‘বালিপাড়া ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ডস-২০২২’ পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ল্যান্ডমার্ক ইকোনমিকস অব বায়োডাইভারসিটি রিপোর্ট ফর দ্য ইউকের লেখক স্যার পার্থ দাশগুপ্তসহ ১৫ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন বাংলাদেশি।

 

রাজধানীর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) অডিটরিয়ামে রোববার (১১ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়।

সাত বাংলাদেশি পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম মনিরুল এইচ খান, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর চেয়ারম্যান গোলাম মাঈনউদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, খাগড়াছড়ির পার্বত্য পিটাছড়া বনাঞ্চল সংরক্ষণে কাজ করা মাহফুজ আহমেদ  রাসেল, প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা দেলোয়ার জাহান, বন বিভাগের রেঞ্জার ও করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির ও আইইউবির উপ-উপচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।  

দশম ইস্টার্ন নেচারনোমিকস ফোরামের তিনদিনের (১১-১৩ ডিসেম্বর) আয়োজনে প্রথম দিন দুটি প্যানেল আলোচনা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শ্যাম সরণ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- যুক্তরাজ্যের ল্যান্ডমার্ক ইকোনমিকস অব বায়োডাইভারসিটি রিপোর্ট ফর দ্য ইউকের লেখক স্যার পার্থ দাশগুপ্ত, আইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, বলিপাড়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত বারঠাকুর, গ্রান্থাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দি এনভায়রনমেন্ট অব লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের (এলএসই) চেয়ারম্যান লর্ড নিকোলাস স্টার্ন প্রমুখ।

বালিপাড়া ফাউন্ডেশন ২০১৩ সালে প্রথম তাদের নামে পদক ঘোষণা করে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অসামান্য ভূমিকা রাখা ১২০ জনকে পুরস্কৃত করেছে সংগঠনটি। পুরস্কারপ্রাপ্ত তৃণমূল পর্যায়ের এসব কর্মী ও নেতার প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার হেক্টরের বেশি এলাকায় পুনর্বনায়ন এবং ৬০০টির বেশি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া তাদের কাজের জন্য ২ হাজার ৮০০-এর বেশি লোকের জীবিকা সুরক্ষিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।