ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে নারী শ্রমিকদের পুষ্টি উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে নারী শ্রমিকদের পুষ্টি উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ

ঢাকা: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের রপ্তানির ৮৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ পোশাক খাত থেকে আসে। এতে কর্মরত রয়েছেন ৪০ লাখ শ্রমিক, যাদের ৬০ শতাংশই নারী।

অথচ পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নের দিকটি অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে। এর সঙ্গে নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যসহ শ্রমিকদের জীবন যাত্রার অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি। তাতে অনেক কর্মী পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেন না। অথচ এই খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নারী কর্মীদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে জোর দেওয়ার জরুরি। এতে পোশাক খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শুধু নয়, বরং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সহজ হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে পোশাকখাত সংশ্লিষ্ট ও স্টেকহোল্ডারদের সংলাপ থেকে এই অভিমত উঠে আসে।

দেশের বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্স ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে। পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে নারী শ্রমিকদের কল্যাণে করণীয় ও সুপারিশমালা তুলে ধরতে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির মূল সঞ্চালনা করেন লাইটক্যাসল পার্টনার্স-এর বিজনেস কনসালট্যান্ট সামিহা আনোয়ার।

এতে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. এম. মাসরুর রিয়াজ, লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক পরিচালক আইনি ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স এর অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশস্থ ইউএনডিপির বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বিষয়ক স্পেশালিস্ট  ডা. মেহরুনা ইসলাম চৌধুরী, ন্যাশনাল স্কিল্ডস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-এর সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা, বিজনেস ইনেশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট বা বিল্ড এর সিইও ফেরদৌস আরা বেগম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই খাতে উৎপাদন বাড়াতে ন্যায়সঙ্গত মজুরি বাড়ানোর পাশাপাশি নারী শ্রমিকদের সুস্থতা ও পুষ্টি উন্নয়নের দিকটি উপেক্ষা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যথাযথ উদ্যোগ নিলে নারী কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এতে কাজের স্পৃহা ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে।

সংলাপে প্রতিযোগিতামূলক বাজার বিবেচনায় বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে: পোশাক খাতে ক্রমবর্ধমান অটোমেশনের প্রভাবে শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা, এই খাতে লিঙ্গ বৈষম্য বেড়ে যাওয়া, নারী কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি, তাদের আর্থিক খাতে কম অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।

এতে ‘পোশাক খাতে নারী কর্মীদের স্বাস্থ্য, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ এবং সামাজিক অধিকার’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ড. জুলিয়া আহমেদ। এছাড়া গার্মেন্টস কর্মীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আপস্কিলিং এবং রিস্কিলিং বিষয়ক আরেকটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) বিশেষজ্ঞ মো. জামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য পোশাক খাতে নারী শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি পোশাক খাতকে দেশের ‘অর্থনীতির মেরুদণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং এই খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এতে ‘বুনন ২০৩০’ শিরোনামে এক উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচেরার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাত থেকে রফতানির পরিমাণ ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: www.lightcastlebd.com/bunon2030/

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।