ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কর্পোরেট কর্নার

আইইউবিতে ড্রাগ ডেভলপমেন্ট ও ফার্মা ফেস্ট

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
আইইউবিতে  ড্রাগ ডেভলপমেন্ট ও ফার্মা ফেস্ট

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) অনুষ্ঠিত হলো ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ড্রাগ ডিসকভারি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ফার্মা ফেস্ট ২০২২। স্কুল অফ ফার্মেসি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ এবং আইইউবি ফার্মা ক্লাব যৌথভাবে ১৯-২০ সেপ্টেম্বর আইইউবি ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

 

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্স ফর রিসার্চ এক্সিলেন্স। দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঔষধ আবিষ্কার ও এর উন্নয়নে সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও এ সম্মলনের উল্লেখযোগ্য আয়োজনের মধ্যে ছিল পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং ফার্মা অলিম্পিয়াড।  

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বাংলাদেশ এখন ঔষধ শিল্পে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। ৪০ বছর আগে ৪৫ শতাংশ ঔষধ বাইরে থেকে আমদানি করতে হত। এখন আমরা ৯৮ শতাংশ ওষুধ নিজেরাই উৎপাদন করছি এবং ১৫৭টি দেশে রফতানিও করছি।

আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব আবদুল হাই সরকার ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে হাতে কলমে ঔষধ উৎপাদন প্রক্রিয়া শেখার সুযোগ করে দিতে ফার্মাসিউটিকাল শিল্পের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।  

আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, পিএচডি, বলেন, ঔষধ কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করতে পারে। আমাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে যৌথভাবে দুই পক্ষের জন্য কল্যাণকর অনেক কিছু করতে পারি। আমরা যৌথভাবে গবেষণা করতে পারি। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও অর্থনৈতিক গবেষণা আমরা একস করতে পারি। ফার্মেসি বিভাগ থেকে পাশ করা গ্র্যাজুয়েটরা যাতে দেশ ও দেশের বাইরের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে চাহিদা মেটাতে পারে সেজন্য পাঠ্যক্রম আরও আধুনিক করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহায়তা করতে পারে ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য, আইইউবি; শারমিন মুরশিদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্রতী; মো. রুহুল আমিন, নির্বাহী পরিচালক, ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড; ডা. সৈয়দ উমর খৈয়াম, চিফ অব পার্টি, পিকিউএম প্লাস, ইউনাইটেড স্টেটস অব ফার্মাকোপিয়া; অধ্যাপক পিটার আর ফ্ল্যাট, ডিরেক্টর, বায়োমেডিকেল সায়েন্স রিসার্স সেন্টার, ইউনিভার্সিটি অফ আলস্টার; অধ্যাপক ড. মিরাজ রহমান, চেয়ার ইন মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিটিউক্যাস সায়েন্স, কিংস কলেজ লন্ডন; এবং অধ্যাপক ড. জেএমএ হান্নান, ডিন, স্কুল অব ফার্মেসি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ, আইইউবি।  

ইউনিভার্সিটি অফ আলস্টারের অধ্যাপক পিটার ফ্ল্যাট, কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক মিরাজ রহমান, নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ওটাগোর অধ্যাপক শ্যামল দাস; ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টারের ড. ডগলাস স্টেইনকে এবং ড. ডেভিড জি অ্যালিসন; এবং অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ড. নাজমুল ইসলামসহ দেশ বিদেশের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিভিন্ন বিষয়ে আরও ৩৫ জন গবেষক তাদের গবেষণা উপস্থাপন করেন। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১১৩ জন অংশ নেন পোস্টার প্রেজেন্টেশনে। খ্যাতনামা সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯টি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ফার্মা অলিম্পিয়াড। ফার্মা ফেস্টে মোট ৪৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

আইইউবি ফার্মা ক্লাব ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এ সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক ছিলো ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বসুন্ধরা কিংস লিমিটেড ও ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।