ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালত

অবশেষে খালাস পেলেন সেই শিপন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
অবশেষে খালাস পেলেন সেই শিপন অবশেষে খালাস পেলেন সেই শিপন

ঢাকা: বিচার বিলম্বে ১৭ বছর কারাগারে থাকা পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের সেই শিপন অবশেষে খালাস পেয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিশেষ দায়রা জজ বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরীর দেওয়া রায়ের অনুলিপি বৃহস্পতিবার (১১ মে) বাংলানিউজের হাতে এসেছে।

যে রায় ঘোষণা করা হয়েছিলো গত ৩ এপ্রিল। রায়ে আদালত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৪ সালে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের দুই মহল্লার মধ্যে মারামারিতে একজন খুন হন। এ ঘটনায় মো. জাবেদ বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় দুই নম্বর আসামি মো. শিপন। এফআইআর এ তার বাবার নাম ছিলো অজ্ঞাত। পরে চার্জশিটের সময় তার বাবার নাম মো. রফিক দেওয়া হয়। ঠিকানা ৫৯, গোয়ালঘটা লেন, সূত্রাপুর বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ৭
নভেম্বর থেকে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ তে ছিলেন শিপন।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে শিপনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সেই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে।

গণমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন ৩০ অক্টোবর উপস্থাপনের পর শিপনকে ০৮ নভেম্বর হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুসারে তাকে হাজিরের পর ওই দিন শিপনকে জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালত আদেশে বলেছেন, ৬০ দিনের মধ্যে এ মামলার বিচার শেষ করতে হবে। সেই পর্যন্ত শিপন জামিনে থাকবেন।

এছাড়াও জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শিপনের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পুনর্বাসনের জন্য একটি আবেদন করতে বলা হয়েছে।

এরপর বিচারিক আদালতে বিচারক কাজ শেষে ০৩ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, বিচারে বিলম্ব হওয়ায় দীর্ঘদিন আটক থাকায় এখন শিপনের পক্ষে আমরা ক্ষতিপূরণ মামলা করতে পারি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।