একাদশে তিন পেসার। উইকেটে ঘাসও স্পষ্ট।
প্রথম ইনিংসে এবাদত চার উইকেট নেন, পরেরটিতে সমান শিকার তাসকিনেরও। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিন পেসার নিয়েছেন মোট ১৪ উইকেট। এমন কন্ডিশনে বল করার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন তাসকিন। মিরপুর টেস্টের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাসকিন বলছেন, এমন উইকেট ভবিষ্যতেও চান তারা।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে স্পোর্টিং কন্ডিশন ছিল, ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই সাহায্য ছিল। ভালো লাগছে যে একটা ভালো ব্যবধানে জয় পেয়েছি। দুই বিভাগে দারুণ ক্রিকেট খেলে বড় একটি জয় পেয়েছি আমরা। খুব ভালো লাগছে, এ জয়ে দলের সঙ্গে থাকতে পেরে। ’
‘আল্লাহর রহমতে পেস বোলাররা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। উন্নতি করছে দেখেই এরকম উইকেট করার সাহস হয়েছে। প্রয়োগও করেছি দারুণভাবে। সামনে আরও চাইবো এরকম স্পোর্টিং কন্ডিশনই হোক, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগে। ’
প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পেয়েছিলেন এবাদত। স্লো ওভার রেটের জরিমানা থেকে বাঁচতে শেষদিকে তাকে বোলিং করাননি অধিনায়ক লিটন। দ্বিতীয়টিতে তাসকিনও শেষ করেছেন চার উইকেট নিয়ে। তার অবশ্য পাঁচ উইকেট পাওয়ার আশা শেষ হয়েছে জহির খান রিটায়ার্ড হার্ট হলে। তাসকিনের বলেই হাতে লাগায় ব্যথা পান জহির।
পাঁচ উইকেট না পাওয়ায় কি মন খারাপ? তাসকিন বলেন, ‘না না, মন খারাপ না। প্রথম ইনিংসে আমি স্ট্রাগল করছিলাম ইনজুরি থেকে এসেছি। তো আল্লাহর রহমতে দ্বিতীয় ইনিংসে আমার ছন্দ আগের চেয়ে ভালো। আলহামদুলিল্লাহ এটাই অনেক কিছু। ’
‘ভালো লাগছে। সবাই দোয়া করবেন সামনে অনেক খেলা আছে, যেন সুস্থ থাকি এবং ভালো করতে পারি। সত্যি কথা বলতে প্রথম ইনিংসের পরে ছন্দ খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা ভালো ছিল। প্রক্রিয়ার মধ্যেই ছিলাম আসলে, মানে ভালো জায়গায় বল করা। এর বেশি কিছু নেই। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস