ছিটকে পড়াই যখন অবশ্যম্ভাবী মনে হচ্ছিল, তখনই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম আট ম্যাচে একটি ম্যাচ জেতা দলটি পরে টানা ছয় ম্যাচ জিতে নাটকীয়ভাবে নিশ্চিত করে প্লে-অফ।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠেছে রাজস্থান রয়্যালস। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭২ রান করে বেঙ্গালুরু। যা এক ওভার হাতে রেখেই পাড়ি দেয় রাজস্থান। রান তাড়ায় নেম শুরুটা ভালোই হয় তাদের। কিন্তু টম কোহলার ক্যাডমরের (২০) বিদায়ে ভাঙে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে আরও ৩৫ রানের জুটি গড়েন যশস্বী জয়সওয়াল। বাঁহাতি এই ওপেনার থামেন ৩০ বলে ৮ চারে ৪৫ রান করে।
ইনিংসের দশম ওভারের ভেতর বিদায় নেন স্যামসনও (১৭)। ধ্রুব জুড়েলও (৮) দ্রুত বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে রাজস্থান। তবে ক্যামেরন গ্রিনের করা ১৬তম ওভারে ১৭ রান আদায় করেন রিয়ান পরাগ ও শিমরন হেটমায়ার। ১৭তম ওভারে যশ দয়ালের কাছ থেকে ১১ রান তোলেন তারা। কিন্তু পরের ওভারে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে। ২৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় পরাগ ৩৬ এবং ১৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করেন হেটমায়ার। দুজন ফেরার পর রাজস্থানকে চাপমুক্ত রাখেন রোভম্যান পাওয়েল। লকি ফার্গুসনের করা ১৯তম ওভারে ১৪ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেন এই ক্যারিবিয়ান। ৮ বলে ২ চার ও ম্যাচউইনিং ছক্কা হাঁকিয়ে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে শুরুতে বেঙ্গালুরুর রানের চাকা চেপে ধরেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন এই কিউই পেসার। মাঝের ওভারগুলোতে রাজস্থান সফলতা পায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাত ধরে। নিজের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে দুই অজি ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিন (২৭) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (০) শিকার করেন এই অফ স্পিনার। ৪ ওভারে এ দুটি শিকারের পেছনে ১৯ রান খরচ করতে হয় তিনি। রাজস্থানের হয়ে ৪৪ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আভেশ খান। অন্যদিকে বেঙ্গলুরুর কোনো ব্যাটারই ৪০ এর ঘর ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন রজত পাতিদার। এছাড়া বিরাট কোহলি ৩৩ ও মহিপাল লমররের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চেন্নাইয়ে আগামী ২৪ জুন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হবে রাজস্থান।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
এএইচএস