সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে বেশ তাড়াহুড়োই করতে দেখা গেল নাজমুল হোসেন শান্তকে। হতে পারে অধিনায়ক হিসেবে এটাই তার শেষবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া।
কিন্তু শান্তর অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে সিরিজের মাঝপথে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবশ্য এটি অনেকটা নিয়মিত দৃশ্য। সিরিজের আগে বা মাঝপথে সামনে চলে আসে বিভিন্ন প্রসঙ্গ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ হারের পর তাই প্রশ্নটা এলো, এসব কি দলের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলে?
চট্টগ্রামে সিরিজ শেষে শান্ত বলেন, ‘করতে পারে, আমি জানি না। তার মানে এই নয় এত খারাপ খেলব, একশ-দেড়শ রানে অলআউট হয়ে যাব। না হলে ভালো। যত কম হয় ততই ভালো। তবে খেলোয়াড়দের এই জিনিসগুলোও মানিয়ে নিতে হবে। জানি এটা কঠিন। তবে এত খারাপ তো হওয়ার কথা না। ’
এসব বিতর্ক কেন সিরিজ শুরুর আগে সামনে আসে এমন আরেকটি প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ইন শা আল্লাহ সামনে থেকে হবে আমি এটা বিশ্বাস করি। সুন্দর একটা নিয়মের মাধ্যমে এই জিনিগুলো হবে। ’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে হারের পর চট্টগ্রামই ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ। কিন্তু এই ম্যাচে ইনিংস ও ২৭৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৫৯ ও দ্বিতীয়টিতে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছে। ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়েও কথা বলেছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘শুধু এই দুই ইনিংস বলব না। খেয়াল করে দেখেন, লম্বা সময় ধরেই এরকম হচ্ছে। টেস্টে টপ অর্ডার থেকে যদি পার্টনারশিপ না হয় তাহলে পরের ব্যাটারদের জন্য খুবই কঠিন লাল বলের ক্রিকেটে। ওপরে যারা ব্যাটিং করে তারা কী চিন্তা করে বা কী ধরনের প্রস্তুতি নেয় আমি জানি না। তবে এভাবে যদি চলতে থাকে, এরকম ফলাফলই হবে। ’
‘মাঠের বাইরের বলতে আমি খেলোয়াড়দের স্কিলে উন্নতির কথা বলেছি, অন্য কিছু বুঝাইনি। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ব্যাটিং এরকম হচ্ছে। যখন প্র্যাকটিস করি, ঐ জায়গায় ঘাটতি আছে কি না খেয়াল রাখা দরকার। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস