ঢাকা: ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর মাঠে গড়াতে পারে নভেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে খেলোয়াড়দের লেনাদেনা নিয়েও তর্কবিতর্ক আছে।
টুর্নামেন্ট শুরু আগে খেলোয়াড়দের ২৫ শতাংশ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও টুর্নামেন্ট শেষে কোনো টাকা পায়নি এ পেসার। সোমবার এ্যাকাডেমি ভবনে আল আমিন জানান,‘নিলাম অনুযায়ী আমাদের টাকা দেওয়ার কথা। আমরা দেশি খেলোয়াড় ছিলাম আটজন বা দশজন। মোটামুটি পাঁচ ছয়জনের টাকা দিল। আমাদের চেকও দিয়েছিল, কিন্তু বরিশাল বার্নার্সের মালিক আজম ভাই বলেন আমাদের চেকে তারিখে ভুল হয়েছে। ঢাকা গেলে টাকা দিবেন তিনি। টুর্নামেন্ট শেষে ঢাকা আসার পর আবারো মনে করিয়ে দিলেন তিনি বলেন হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই দিবেন। ’
বিপিএল শেষে হওয়ার পর আজিম শুরু করেন নানা টালবাহানা। ফোন বা এসএমএস এ যোগাযোগ করা হলেও আল-আমিনকে কোনো সাড়া দেননি তিনি। আল-আমিন বলেন,‘আমাদের ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি বলেছি। জাতীয় দলের খেলের সময় হঠাৎ অপরিচিত নাম্বারে তাকে ফোন দিয়েছি। আমি বললাম ভাই আমি তো বিপিএল খেললাম আমার টাকা তো দিলেন না। তিনি বলেন, হ্যাঁ তোমার টাকা দিয়ে দিবো। তোমার টাকা রেডি করতে পারিনি। ’
আংশিক টাকা চাইলেও বার্নার্স মালিক লাজওয়াব,‘আমি বলেছি, আমার পুরো টাকা দেয়ার দরকার নেই। আমি যে কয়টা ম্যাচ খেলেছি সেই কয়টা ম্যাচ হিসেব করে আমার টাকা দিয়ে দেন। এরপর থেকে কোনো ফোন ধরে না। টাকা দেয়ার কোন খবর নেই। আমি এক টাকাও পাইনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ২১ এপ্রিল ২০১৪