ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরের ফিক্সিংয়ের রায়ের বিপক্ষে আপিলের শুনানি হয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল শাস্তি কমানোর জন্য আপিল করেন।
আশরাফুলের সঙ্গে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার কৌশল লুকারাচ্চিরও প্রাথমিক শুনানি হয়।
বুধবার সকালে গুলশানের মিডিয়া সেন্টারে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রাইব্যুনালে এই শুনানি শুরু হয়। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর আবার শুনানি ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।
এই বিষয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের আইনজীবি খালেদ হামিদ চৌধুরি জানিয়েছেন, ‘আজ এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান কিছু প্রশ্ন করেছেন। সবার জানার জন্য যেটা প্রয়োজন। মূল শুনানি হবে আগামী মাসের ৮ তারিখ থেকে। যারা আপিল করেছে তাদের বিষয়ে শুনানি হবে। কবে শুনানি হবে তা নিয়েই আজ আলোচনা হয়েছে। তেমন কোন গুরুত্বপূর্ন কিছুই নেই। আমরা আপিল করেছি। আশরাফুলের সাজাটা অতিরিক্ত হয়ে গেছে; তার সাজাটা যেন পূর্ণবিবেচনা করা হয়। কেননা আশরাফুল শুরু থেকেই ট্রাইব্যুনালকে সহযোগিতা করে আসছিল; তাই তার শাস্তি অবশ্যই কমানো উচিত বলে মনে করি। ’
এছাড়া তিনি বলেন,‘ আকসু আপিল করেছে ট্রাইব্যুনালে যাদের কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া আকসু চায় যে শিহাব চৌধুরীকে ১০ বছরের পরিবর্তে সারাজীবন নিষিদ্ধ করা হোক। আসলে আগামী মাসের ৮ থেকে ১১ তারিখ চার দিন ফাইনাল শুনানি হবে। এরপর অবশ্য কেউ চাইলে সুইজারল্যান্ডের আদালতে আপিল করতে পারবেন। ’
শিহাবের আইনজীবী নওরোজ এম আর চৌধুরী বলেন,‘ আমরা শিহাব চৌধুরীর পক্ষে আপিল করেছি যে, তিনি নির্দোষ। তাকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আপিল করেছি। এরপর অবশ্য বিসিবি ও আকসু (আইসিসি) আপিল করেছে তার বিপক্ষে। এছাড়া রুবেল ও রবিনের বিরুদ্ধে আপিল করেছে আকসু। এসব নিয়ে আজ প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। আগামী মাসেই চূড়ান্ত শুনানি হবে। আজ শুধু আপিলগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। ’
ট্রাইব্যুনালে মোট চারটি আপিল করেছে আশরাফুল। তার সঙ্গে নিজেকে নিদোর্ষ প্রমানের জন্য আপিল করেছেন শিহাব চৌধুরী। নওরোজ আরো বলেন,‘ট্রাইব্যুনালে মোট চারটি আপিল করা হয়েছে। আশরাফুল শাস্তি কমানোর আপিল করেছে। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান কৌশল লোকুয়ারাচ্চি শাস্তি কমানোর আপিল করেছে। শিহাব চৌধুরী আপিল করেছে নিজেকে নির্দোষ প্রমানের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ৬ আগস্ট ২০১৪