ঢাকা: ২০০৭ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় আয়ারল্যান্ড। প্রথম বিশ্বকাপেই চমকে দিয়েছিল আইরিশরা।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রয়েছে বিশ্বকাপে কেনিয়ার মতো দলের কাছে হারার অভিজ্ঞতা। তাও আবার তৎকালীন দলটিতে ছিলেন ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারা, গতি দানব কার্টলি অ্যাম্ব্রোস, রিচি রিচার্ডসনের মতো ক্রিকেটার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে ‘পঁচা শামুকে পা কাটা’র স্মৃতি কি হানা দিচ্ছে ক্যারিবীয়দের মনে!
তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে পোর্টারফিল্ডের আয়ারল্যান্ড। পুল-বি এর নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে আইরিশরা।
সময়ের পরিক্রমায় দিনে দিনে বিবর্ণ হয়ে পড়েছে ক্যারিবীয়দের ক্রিকেট ঐতিহ্য। এতটাই বিবর্ণ হয়েছে যে ছোট দল আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়াম পোটারফিল্ডও ম্যাচের আগে একরকম সাবধান বাণী শোনালেন ক্যারিবীয়দের। আইরিশ অধিনায়কের দাবি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যদি তার দল হারিয়ে দিতে পারে তাতে নাকি অবাক হওয়ার কিছু নেই! পাঠক শুনে হয়তো আশ্চর্য লাগতে পারে, ভাবতেই পারেন আইসিসির সহযোগী দেশটি এরকম আত্মবিশ্বাসের রসদ কোথায় পেল?
আইরিশদের একে তো জায়ান্ট কিলার তকমটা আছে তার ওপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অবস্থাটাও বেশ খারাপ। দলে নেই সুনীল নারাইনের মতো ক্রিকেটার। গৃহবিবাদের জের ধরে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি কাইরন পোলার্ড এবং ডোয়াইন ব্রাভোকে।
ক্যারিবীয়দের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অনভিজ্ঞ জেসন হোল্ডারের হাতে। প্রস্তুতি ম্যাচেও বিবর্ণ ছিল ক্যারিবীয়রা। স্কটল্যান্ডের মতো দলও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩১৩ রান তাড়া করে জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিন রানের জয় নিয়ে সম্মান বাঁচায় ক্যারিবীয়রা।
আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্টইন্ডিজ পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে চারবার জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আরেকটি ম্যাচ ড্র।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের প্রস্তুতি পর্বটা খারাপ হয়নি একেবারেই। সমশক্তির স্কটল্যান্ডের কাছে হারলেও বাংলাদেশকে চার উইকেটে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে দলটি। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে আরেকটি আইরিশ রূপকথা লেখার জন্যে মুখিয়ে আছে আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫