ঢাকা: আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া আর বয়সভিত্তিক ক্রিকেট মিলে সারাবছরই ব্যস্ততা দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে নেই পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুবিধা।
ঢাকার ক্রিকেট অবকাঠামো যে পর্যাপ্ত নয়, সেটি মানলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়। মাঠের স্বল্পতার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটের কয়েক বছরের সূচিও একসঙ্গে করা সম্ভব হয় না বলে জানান তিনি।
মাঠ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঠের পরিমাণ দেখতে হয়। আমাদের একটা বড় ইস্যু আছে। সমস্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। কিন্তু মাঠ একটা বড় ইস্যু। মাঠের প্রাপ্যতা কিন্তু বেশি দরকার। একটা মাঠে যদি বছরে আমরা ৬০ দিন ধরি ক্রিকেটের জন্য.. । সেইখানে কিন্তু আমরা প্রত্যেকটা মাঠ ব্যবহার করছি ইতিমধ্যে। ’
তবে আশার খবর, ঢাকায় অনুশীলন কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ চালানোর জন্য দুটি মাঠ পাচ্ছে বিসিবি। শিঘ্রই মহাখালীর টিএন্ডটি মাঠ ও সংসদ ভবন সংলগ্ন ফাঁকা মাঠের বড় একটা অংশ হস্তান্তর করা হবে। যেখানে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিবি।
দুর্জয় জানান, ‘আমরা এরই মধ্যে আরও দুটি মাঠ পেতে যাচ্ছি। আরও বেশকিছু মাঠ নিজেদের প্রয়োজন। ’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘কিছু মাঠ আমরা টার্গেট করেছি। যাদের সঙ্গে আমাদের আগে চুক্তি ছিল বিভিন্ন ধরনের। এখন নেই। সেগুলো আবার চালু করব, বয়সভিত্তিক পর্যায়ের জন্য। এর জন্য গ্রাউন্ডস কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ’ তবে এরই মধ্যে দুটি মাঠ পেয়ে গেছে বিসিবি। এর একটি সংসদ ভবন সংলগ্ন ফাঁকা মাঠের বড় একটা অংশ। অন্যটি মহাখালীর টিএন্ডটি মাঠ। যদিও মাঠ দুটি বিসিবির অধিকারে নেওয়ার চূড়ান্ত কাজ এখনো শেষ হয়নি। ’
শুধু অনুশীলন ভেন্যুই নয় দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ এর উপর চাপ কমাতে মানিকগঞ্জের পদ্মার পাড়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজও হাতে নেওয়া হচ্ছে। গত ১২ আগস্ট মানিকগঞ্জের সম্ভাব্য কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখেছেন চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। স্থান নির্ধারণের পর প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই স্টেডিয়াম তৈরীর কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এসকে/এমএমএস