ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রতিভাবানদের নিয়ে ফাস্ট বোলিং ক্যাম্প শুরু

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৬
প্রতিভাবানদের নিয়ে ফাস্ট বোলিং ক্যাম্প শুরু

ঢাকা: বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের অধীনে ১৮ জন ফাস্ট বোলারকে নিয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে ফাস্ট বোলিং ক্যাম্প। রবি ফাস্ট বোলার হান্টের চূড়ান্ত বাছাইয়ে নির্বাচিত ১০ জন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ৫ জন ও বিসিবি’র ন্যাশনাল সিলেকশন প্যানেলের নির্বাচিত ৩ পেসারকে নিয়ে শুরু হয় এ কার্যক্রম।



দেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিবিঢ় পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখতে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) এর অধীনে প্রথম দিন ইনডোরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন ক্রিকেটাররা। প্রাথমিক পর্যায়ে দুই সপ্তাহ চলবে এ ক্যাম্প।

ক্যাম্পের সার্বিক দিক নিয়ে বিসিবি’র গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির অপারেশন্স ম্যানেজার মোহাম্মদ কাওসার জানান, ‘প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে উঠে আসা ক্রিকেটারদের ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে কাজ করবেন কোচিং স্টাফরা। এখানে স্কিল উন্নতির পর আমাদের ৪০ দিনে ক্যাম্প করার পরিকল্পনা আছে। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপলাইনে যারা আছেন তারাও এটির সঙ্গে যুক্ত হবেন। ’
 
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা তো একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসেছে। কিন্তু ফাস্ট বোলিং হান্ট থেকে যারা এসেছে তাদের এমন প্রক্রিয়া প্রথমবার, সেক্ষেত্রে অনুশীলন সমন্বয়ে সমস্যা হবে কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা বোলারকে নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। কোচরা কার কী দরকার সে অনুযায়ী দিক-নির্দেশনা দেবেন-এ জন্য কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

রবি ফাস্ট বোলার হান্টে ১৩৯ কি:মি: বেগে বল করে সবাইকে অবাক করেছেন নৌ-বাহিনীতে কর্মরত মো: এবাদত হোসেন। সরকারী চাকুরে করে কিভাবে তিনি ক্যাম্পে থাকবেন- এ প্রশ্নে মোহাম্মদ কাওসার বলেন, এবাদত হোসেনকে নিয়ে আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে। তার ভেতরে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে আমরা নৌ-বাহিনীর সদর দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সে ট্রেনিং ও খেলায় অংশ নিতে পারবে-এ ব্যাপারে নৌ-বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তারা এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। তারা ছুটির ব্যবস্থা করবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে রিচার্ড ম্যাকিন্সের তত্ত্বাবধানে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কার্যক্রম হয়। এর ফলস্বরূপ সাকিব-মুশফিকদের মতো বিশ্বমানের তারকা ক্রিকেটার পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০৭ সালের পর বন্ধ হয়ে যায় এই কার্যক্রম। এরপর আবারো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় নতুন করে, নতুন কাঠামোতে শুরু হয় এইচপি ইউনিটের কার্যক্রম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।